চট্টগ্রামে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন, যাত্রীদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর
Published: 7th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী ট্রেন মেঘনা এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন যাত্রীরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরের বটতলী রেলস্টেশনে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার কথা সন্ধ্যা ছয়টায়। কিন্তু ছেড়েছে ৭টা ৫০ মিনিটে। এ কারণে কিছু যাত্রী ভাঙচুর করেছেন। মেঘনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেসে। মূলত কক্সবাজার থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস দেরিতে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কারণে এই বিলম্ব হয়েছে।
মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী মো.
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, নারী ও শিশু যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ট্রেন কখন ছাড়বে, এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানাতে পারেননি। এ কারণেই মূলত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বক্তব্যটি শেখ হাসিনার: তাজুল ইসলাম
‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ডের এই বক্তব্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ওই অডিও রেকর্ড সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের ফটকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই কথোপকথনের মাধ্যমে আসামি শেখ হাসিনা বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন দাবি করে বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ড অনলাইনে ছড়িয়েছে। এগুলোর একটি রেকর্ডে একজনের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে একটি নারীকণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, সারা দেশে তাঁর নামে ২২৭টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি ২২৭টি হত্যার লাইসেন্স পেয়েছেন। কারণ, একটি হত্যা মামলায় যে সাজা, দুই শর বেশি হত্যা মামলায়ও সেই সাজা।
আজ দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময়ে এ বিষয়ে কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই কথোপকথনটি সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে সিআইডি মতামত দেয় যে কথোপকথনটি শেখ হাসিনা এবং শাকিল আহমেদের মধ্যেই হয়েছে। এটা বানানো কোনো কনভারসেশন (কথোপকথন) কিংবা এআই দিয়ে তৈরি নয়।’
শেখ হাসিনা ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পুলিশ ও মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আসামি শেখ হাসিনা তাঁর মামলার সাক্ষীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার নির্দেশ দেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন মনে রাখে, তাদের ভবিষ্যতেও চাকরি করতে হবে।’
শেখ হাসিনার এই অডিও রেকর্ড এবং সেটার ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আদালত আগামী ১৫ মে আসামিদের সশরীরে কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করতে বলেছেন। সেদিন তাঁরা তাঁদের জবাব দাখিল করলে আদালত সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যধারা গ্রহণ করবেন।’