চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী ট্রেন মেঘনা এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন যাত্রীরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরের বটতলী রেলস্টেশনে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার কথা সন্ধ্যা ছয়টায়। কিন্তু ছেড়েছে ৭টা ৫০ মিনিটে। এ কারণে কিছু যাত্রী ভাঙচুর করেছেন। মেঘনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেসে। মূলত কক্সবাজার থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস দেরিতে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কারণে এই বিলম্ব হয়েছে।

মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী মো.

হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, রেলওয়ের গাফিলতির কারণে ট্রেন ছাড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়েছে। এ কারণে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে যাত্রীরা কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন।

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, নারী ও শিশু যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ট্রেন কখন ছাড়বে, এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানাতে পারেননি। এ কারণেই মূলত সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

আর্জেন্টিনার নদীতে লাল স্রোত

আর দশটি স্বাভাবিক রাতের মতো বুধবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর আভেলানেদার বাসিন্দারা। কিন্তু ভোরে তাদের ঘুম ভাঙে অন্যরকম গন্ধে। বাসিন্দারা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখেন, শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদী ‘সারান্দি’র পানির রঙ হয়ে গেছে লাল। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেন, মনে হয়েছে রক্তে ঢেকে আছে নদীটি।

একরাতের ব্যবধানে নদীর পানির টকটকে এই লাল রঙ আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে বাসিন্দাদের। এর জন্য আপাতত দূষণকে দোষ দিচ্ছেন তাঁরা। প্রকৃত কারণ জানতে নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে বুয়েনস এইরেসের আবহাওয়া বিভাগ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সম্ভবত শিল্পখাতে ব্যবহৃত রঙ নদীতে ফেলায় পানি এমন বর্ণ ধারণ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ডুকমলস বলেন, ‘গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দিনের আলোতে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি, এটি পুরো লাল হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছিল, রক্তে নদী ঢেকে আছে। এটা ভয়াবহ।’

হুট করে নদীর পানির এমন রঙ পরিবর্তনের সঠিক কারণ জানা না গেলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে, তীরবর্তী শিল্প কারখানা, বিশেষ করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। সূত্র বিবিসি, স্কাই নিউজ ও এএফপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ