নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাহাড়ে শান্তি অর্জন করা সম্ভব। অতীতে অনেক কিছু ভুল হয়েছে, সেই ভুলভ্রান্তির সবকিছু ভুলে গিয়ে সবাই মিলে শান্তির পথ খুঁজতে হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বান্দরবানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর হাত ধরে বৌদ্ধ অনাথালয়টি গড়ে উঠেছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বৌদ্ধ অনাথালয়ে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। তিনি ঘুরে ঘুরে তাঁর নির্মিত ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধনী ফলক দেখেন। মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করা অনাথালয়টিতে বর্তমানে দুই শতাধিক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত দুর্গম এলাকার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরের পাশেই অনাথালয়টি অবস্থিত।

পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন অনাথালয়ের উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু করার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছেন। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শারমিন আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন অনাথালয় বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উ পঞানন্দ মহাথের।

অনাথালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা বরাবরই শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ করে পরিস্থিতি খারাপ হলো। যারা বিপথে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসারও তিনি আহ্বান জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ