নড়াইলের কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বি এম কবিরুল হক মুক্তির বাগানবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের কালিয়া পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কালিয়া বাজারে উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে কালিয়া ডাকবাংলোর পাশে অবস্থিত সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হকের বাগানবাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠান তখন চলছিল। হঠাৎ দেখি পূর্ব পাশে (সেখানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়) কারা যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সে সময় আমরাও মাইকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। কে বা কারা এ কাজ করেছে, তা আমরা জানি না। এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

ভাঙচুর ও আগুনের বিষয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগও পাইনি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহর নেতৃত্বে নড়াইল পৌরসভার পুরাতন বাস টার্মিনাল, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের চারটি ম্যুরাল এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় নড়াইল পৌরসভার ফটক, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাচীরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজ ম্যান অব দ্য বিপিএল, কে জিতলেন কোন পুরস্কার 

অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম  শেষ হয়েছে। পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এবার পুরস্কারে ছিল টাকার ছড়াছড়ি। আগেরবারের তুলোনায় যা ২ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি!

এবারের আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। চিটাগংয়ের সঙ্গে শেষ ওভারে ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকে যায় তার দল। তবে ব্যাটে বলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান করেছেন। 

এক নজরে দেখা যাক কার হাতে উঠলো কত টাকার পুরস্কার… 

আরো পড়ুন:

বিপিএলের রোল অব অনার

রান উৎসবের ফাইনালে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

ফরচুন বরিশাল: টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা আগেরবার থেকে ৫০ লাখ বেশি। 

চিটাগং কিংস: রানার্স আপ হয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পেয়েছে চিটাগং। 

খুলনা টাইগার্স: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে তৃতীয় হয়ে ৬০ লাখ টাকা পেয়েছে খুলনা। 

রংপুর রাইডার্স: ৮ জয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুর হয়েছে চতুর্থ। তারা পেয়েছে ৪০ লাখ টাকা। 

তামিম ইকবাল: ফাইনালে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তামিম হয়েছে ম্যান অব দ্য ফাইনাল। পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মেহেদী হাসান মিরাজ: ব্যাট হাতে ১৪ ইনিংসে ৩৫৫ রান ও বোলিংয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা ক্রিকেটার মিরাজ। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। 

তানজীদ হাসান তামিম: ১২ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরিতে ৪৮৫ রান করে ইমার্জিং ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তানজীদ। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এই পুরস্কার এবার প্রথম দেওয়া হয়েছে।  

নাইম শেখ: এক সেঞ্চুরি আর তিন ফিফটিতে ৫১১ রান করা নাঈম পেয়েছেন সেরা ব্যাটারের পুরস্কার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।

তাসকিন আহমেদ: ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে তাসকিন হয়েছেন সেরা বোলার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মুশফিকুর রহিম: ১২টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্পিং করে সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মুশফিক। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। 

ঢাকা/রিয়াদ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ