শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হলো! চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন পাকিস্তান ওপেনার সাইম আইয়ুব। জানুয়ারিতে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ার পর থেকে সাইমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল।

তাঁকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে, সাইমকে পাওয়ার আশায় ছিল পাকিস্তানও। সেই আশা অবশেষে শেষ হয়ে গেল আজ। পিসিবি আজ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ১০ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

সাইম চোটে পড়েন গত মাসের শুরুতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের ব্যাট ছুঁয়ে বল স্লিপ থেকে বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল, সেই বল থামাতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পান সাইম। মাঠে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, গুরুতর কিছুই হয়েছে।

দারুণ ছন্দে ছিলেন সাইম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজ ম্যান অব দ্য বিপিএল, কে জিতলেন কোন পুরস্কার 

অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম  শেষ হয়েছে। পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এবার পুরস্কারে ছিল টাকার ছড়াছড়ি। আগেরবারের তুলোনায় যা ২ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি!

এবারের আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। চিটাগংয়ের সঙ্গে শেষ ওভারে ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকে যায় তার দল। তবে ব্যাটে বলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান করেছেন। 

এক নজরে দেখা যাক কার হাতে উঠলো কত টাকার পুরস্কার… 

আরো পড়ুন:

বিপিএলের রোল অব অনার

রান উৎসবের ফাইনালে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

ফরচুন বরিশাল: টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা আগেরবার থেকে ৫০ লাখ বেশি। 

চিটাগং কিংস: রানার্স আপ হয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পেয়েছে চিটাগং। 

খুলনা টাইগার্স: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে তৃতীয় হয়ে ৬০ লাখ টাকা পেয়েছে খুলনা। 

রংপুর রাইডার্স: ৮ জয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুর হয়েছে চতুর্থ। তারা পেয়েছে ৪০ লাখ টাকা। 

তামিম ইকবাল: ফাইনালে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তামিম হয়েছে ম্যান অব দ্য ফাইনাল। পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মেহেদী হাসান মিরাজ: ব্যাট হাতে ১৪ ইনিংসে ৩৫৫ রান ও বোলিংয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা ক্রিকেটার মিরাজ। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। 

তানজীদ হাসান তামিম: ১২ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরিতে ৪৮৫ রান করে ইমার্জিং ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তানজীদ। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এই পুরস্কার এবার প্রথম দেওয়া হয়েছে।  

নাইম শেখ: এক সেঞ্চুরি আর তিন ফিফটিতে ৫১১ রান করা নাঈম পেয়েছেন সেরা ব্যাটারের পুরস্কার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।

তাসকিন আহমেদ: ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে তাসকিন হয়েছেন সেরা বোলার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মুশফিকুর রহিম: ১২টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্পিং করে সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মুশফিক। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। 

ঢাকা/রিয়াদ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ