শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হলো! চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন পাকিস্তান ওপেনার সাইম আইয়ুব। জানুয়ারিতে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ার পর থেকে সাইমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল।

তাঁকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে, সাইমকে পাওয়ার আশায় ছিল পাকিস্তানও। সেই আশা অবশেষে শেষ হয়ে গেল আজ। পিসিবি আজ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ১০ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

সাইম চোটে পড়েন গত মাসের শুরুতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের ব্যাট ছুঁয়ে বল স্লিপ থেকে বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল, সেই বল থামাতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পান সাইম। মাঠে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, গুরুতর কিছুই হয়েছে।

দারুণ ছন্দে ছিলেন সাইম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।

মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’

মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ