সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ির একটি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর আগে এক্সকাভেটর দিয়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী কার্যালয়ের কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর কার্যালয় ভবনটিকে গণশৌচাগার হিসেবে ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নওগাঁ শহরের পোস্ট অফিসপাড়ায় অবস্থিত সাধন মজুমদারের বাড়িতে আগুন দেন একদল লোক। পরে রাত আটটা থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু। বাড়ির প্রধান ফটক, প্রাচীর ও বাড়ির কিছু অংশ ভাঙার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে এক্সকাভেটর নিয়ে চলে যান। আজ শুক্রবার সকালে সেখানে আর কোনো ভাঙচুর চালানো হয়নি।

এর আগে গত ৫ আগস্ট প্রথম দফায় সাধন মজুমদারের ওই বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কিছু লোক সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে আগুন দেন। পরে তাঁরা এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

আরও পড়ুনবুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিজেদের দোষে নারীরা কুপ্রস্তাব পান: মমতা শঙ্কর

পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। সাম্প্রতিক সময়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নারী দিবসের আগে দেওেয়া অভিনেত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এর আগে নায়িকাদের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনা মুখ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া প্রকাশ্যে চুম্বন নিয়ে মন্তব্য করেও পড়েছিলেন বিতর্কে। এবার নতুন এক বিতর্কে নাম জুড়ালেন মমতা।

 কুপ্রস্তাব পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদেরকেই দায়ী করে দেওয়া মমতার বক্তব্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নারী দিবসের আগে তার এমন বক্তব্য নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনুরাগীরাও। 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মমতা দাবি করেন যে নারীরা কুপ্রস্তাব পাওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী। অভিনেত্রীর মতে, নারীরা যদি নিজেদের ব্যক্তিত্ব দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আত্মসম্মান, আত্ম মর্যাদা নিজেকে ধরে রাখতে হবে। অনেকে আমায় অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখার পর এসে বলেছেন উনি তোমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, খারাপ লোক কিন্তু উনি, সাংঘাতিক। সাবধানে থেকো। আমি পাল্টা জবাবে বলেছি যে আমার তো তাঁকে ভালোই, সজ্জন বলে মনে হল।

রাত জেগে, গভীর রাত পর্যন্ত কত শ্যুটিং করেছি, কত মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি। গান গেয়েছি। কেউ কখনও খারাপ প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।’

এদিকে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। তিনি নাম উল্লেখ না করেই লেখেন, উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী, সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভাবুক ইমোজি। নেটিজেনদের বুঝতে দেরি হয়নি যে অভিনেতা কাকে ইঙ্গিত করেছেন। অনেক ভক্ত-অনুরাগীকেই তার মন্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ