ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সারাদেশে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করছে জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের অফিসে অঞ্চল বৈঠক থেকে নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চলের পরিচালক এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও হবিগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সমকালকে জানান, দুই বছর আগে তারা সারাদেশে ১৫৩ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেন। প্রার্থীদের নাম কেন্দ্র অনুমোদনের পর অঞ্চল থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে।

১৯ আসনের প্রার্থী হলেন– সিলেট-১ আসনে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট-২ অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, সিলেট-৩ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, সিলেট-৫ জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান ও সিলেট-৬ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা আমির তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ সিলেটের এপিপি ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ মুহাম্মদ শামসউদদীন ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুস সালাম আল মাদানী।

হবিগঞ্জ-১ আসনে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের শূরা সদস্য শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান।

মৌলভীবাজার-১ আসনে আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ জেলা আমির প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ সাবেক জেলা আমির আব্দুল মান্নান ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে আব্দুর রব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম স ন মগঞ জ ১ আসন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের নমনীয়তা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

মবের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের সমর্থনমূলক নমনীয় মনোভাব গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

প্রাথমিক নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে তারা।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, যেকোনো অধিকার ও দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিকভাবে সংগঠিত হওয়া, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সংগঠিত করা সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামে জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। সরকারের জনগণের সেই ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে প্রাথমিক নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা আমরা লক্ষ করেছি, কিন্তু এই সময়ে বিভিন্ন ন্যায্য সংগ্রামে আমরা জনগণের ওপর পুলিশের নির্মম হামলা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির হামলা; সেই বিচারের দাবিতে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলা, মবের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের সমর্থনমূলক নমনীয় মনোভাব গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ