‘আগামী বছর চীনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বই প্রকাশিত হবে’
Published: 7th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় চায়না বুক হাউজ নামে চীনা স্টল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এই বুক স্টল পরিদর্শন করেন তারা।
এ সময় আগামী বছর দশটি বই যৌথভাবে প্রকাশ করার ব্যাপারে কাজ করছে বাংলাদেশ, এমনটা জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “এর মধ্যে পাঁচটি চীনা ভাষার ক্লাসিক বাংলায় অনুবাদ হবে এবং বাংলা ভাষার পাঁচটি ক্লাসিক চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হবে। আমরা দশটা বই দিয়ে শুরু করছি, সামনে আরো বাড়বে।”
আরো পড়ুন:
বইমেলায় ভ্রমণগদ্য ‘পূর্ব আফ্রিকার তিনকাহন’
বইমেলায় ‘আবৃত্তির কলাকৌশল ও নির্বাচিত কবিতা’
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কাজ চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় আমরা সিনেমা নিয়েও একটি কাজ করতে যাচ্ছি, যা বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী সবাইকে আনন্দিত করবে।”
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে চীন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে আমরা দুপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যে পৌঁছেছি। এরই মধ্যে ইয়ুননান প্রদেশের কুনমিংয়ে তিনটি হাসপাতাল মনোনীত করা হয়েছে এবং এ হাসপাতালগুলোতে সুযোগ-সুবিধা, ডাক্তার ও সেবা অনেক উন্নত।”
তিনি আরো বলেন, “চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশের মানুষ যেন সহজে ভিসা, টিকিট এবং কম খরচে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে, সে জন্য চীন সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।”
এবারের চীনা বইয়ের স্টলটিতে চীনা সংস্কৃতি, ইতিহাস, লোককাহিনি, পর্যটন, রন্ধনপ্রণালী, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং চীনা ভাষা শেখাসহ চীন বিষয়ক বিভিন্ন বইয়ের প্রদর্শনী চলছে।
চীনা দূতাবাস তৃতীয়বারের মতো এই বুকস্টলের আয়োজন করেছে এবং এর সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, ‘এগুলো ওঠাও’
সিলেটে থানা পরিদর্শনে গিয়ে লালগালিচা বিছানো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি লালগালিচায় না উঠে থানার সামনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করেন। এরপর সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে লালগালিচা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে বিমানবন্দর থানায় যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় থানার সামনে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালগালিচা বিছিয়ে মঞ্চ প্রস্তুত করা ছিল। কিন্তু তিনি লালগালিচায় না হেঁটে সালাম দিতে প্রস্তুত থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমের কাছে লালগালিচা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো ওঠাও...। না করেছি যেটি কেন রাখছ থানায়? এখন ওঠাও।’ এ সময় পুলিশ কমিশনারকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রথম আসছেন সে জন্য...’। এতে উপদেষ্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, এগুলো হবে না। প্রটোকল করতে করতে তোমাদের সময় শেষ। মেইন কাম করতে পারতেছ না।’ পরে উপদেষ্টা থানার ভেতরে প্রবেশ করলে লালগালিচা সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা।
‘মবকে এখন পুলিশ ভয় পাচ্ছে না’এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মবকে এখন পুলিশ ভয় পাচ্ছে না। এটা কিন্তু অনেক কমে আসছে। সিলেটে যে ঘটনা ঘটেছে, তাদের কিন্তু আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অনেকেরই কিন্তু ধরে ফেলা হয়েছে। এখানে কিন্তু কাউকে পাস করা হয়নি যে এইটা আমার এই ভাইয়ের ছেলে কিংবা এইটা এই ভাইয়ের ভাই—এই হিসেবে কিন্তু আমরা করিনি। যে অন্যায় করেছে, তাকেই আমরা আইনের আওতায় আনছি।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সবার কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনুরোধ, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতেই আইন থাকবে। পুলিশের মানসিকতা পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘চেঞ্জ অনেক হয়েছে। রোজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে যা–ই বলুক না কেন, আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।’
পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ছিনতাই করে নিচ্ছে, তাদের কিন্তু আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। এগুলোর ক্ষেত্রে আপনারা সত্যি ঘটনা যেটা, সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। অনেক সময় তাদের অ্যাকশন নিতে দেরি হয়। এতে আমাদের অনেক সংকট রয়ে গেছে। এদের গাড়িঘোড়ার কিন্তু অনেক সংকট। অনেক গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে। থানা পুড়ে গেছে। এগুলো তো সব আমরা করে দিতে পারিনি। আমরা তো একটা নতুন গাড়ি পর্যন্ত কিনে দিতে পারিনি। যেহেতু প্রসিডিউর অনেক ইয়ে...টাকা স্যাংশন হতে। এটা যদি হয়, তাদের অবস্থার আরও উন্নতি হবে।’
অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অস্ত্র যতটা এক্সপেক্টেশন ছিল, তত কমপ্লিট হয় নাই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেটা আমরা পারিনি, সেটা তো আমরা বলব না। অস্ত্র বাইরে থাকলে তো কিছুটা হুমকি থাকবে।’