ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকে উঠতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
Published: 7th, February 2025 GMT
১২–১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আজ শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার বিশেষ মিডিয়ায় ব্রিফ করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসতে পারি কি না। জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে আগে থেকে পূর্বাভাস দিতে পারি না। তবে সেখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং আমার ধারণা, যেসব বিষয় আলোচনায় আসতে পারে, সেগুলোর অন্যতম একটি এটা।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো না হলে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ওপর হুমকি আসতে পারে বলে যে কথা উঠেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব যে দেশে, সেটা থাকে সেই দেশের। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ধ্বংস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়টিও ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের কাছে প্রশ্নে তুলে ধরেন দেশটির সাংবাদিকেরা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের ঘটনার উল্লেখ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এ ঘটনা নিয়ে ভারত গতকাল একটি বিবৃতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪ ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে সামরিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত পাঠানোর দুই দিন পর নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের দিনক্ষণ জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ নমন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা