ফরিদপুরের তিন গুণী ব্যক্তি পেলেন হুমায়ুন কবির সাহিত্য পুরস্কার। শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

প্রথমবারের মতো গবেষণায় ড. মোহাম্মদ আলী খান, কথাসাহিত্যে তাপস কুমার দত্ত ও সাংবাদিকতায় সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমামকে এ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হলো।

প্রধান অতিথি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, ‘হুমায়ুন কবির ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ছিলেন। তিনিই উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অক্সফোর্ড থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও দর্শনে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। ভারতের দুবারের শিক্ষামন্ত্রী ৪৭টি বই লিখেছেন। তাঁর নদী ও নারীর কথা বেশ আলোচিত।’

দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ ইতিহাস ও গুণী মানুষকে জনসম্মুখে এনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ধারাটিকে পুনরুজ্জীবিত করছে।’

পুরস্কার পেয়ে সাংবাদিক সাদিয়া মাহ্জাবীন বলেন, ‘নিজের শহর থেকে পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত। অন্যান্য পুরস্কারের তুলনায় এত স্বজনের মাঝে পুরস্কার নেওয়া সত্যিই গর্বের।’

ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ ত য প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের নমনীয়তা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

মবের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের সমর্থনমূলক নমনীয় মনোভাব গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

প্রাথমিক নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে তারা।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, যেকোনো অধিকার ও দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিকভাবে সংগঠিত হওয়া, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সংগঠিত করা সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামে জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। সরকারের জনগণের সেই ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে প্রাথমিক নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা আমরা লক্ষ করেছি, কিন্তু এই সময়ে বিভিন্ন ন্যায্য সংগ্রামে আমরা জনগণের ওপর পুলিশের নির্মম হামলা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির হামলা; সেই বিচারের দাবিতে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলা, মবের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের সমর্থনমূলক নমনীয় মনোভাব গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ