দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র, সারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকালে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে শুরু হয়ে চিটাগাং, শিমরাইল স্ট্যান্ড প্রদক্ষিন করে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে যুবদল নেতা মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশে বসে পলাতক স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদেশের সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সকলেই আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি ফ্যাসিস্টদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের যেকোন ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে রাজপথে ছিলাম আছি। 

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মনজুরুল আলম মুসা,জাকির হোসেন, কামরুল হাসান সেন্টু,হাসান রাজা, মোশাররফ হোসেন, ওয়াসিম,আলী রাজ, মাসুদ বাঙালি,মিলন হোসেন, শহিদুল ইসলাম,কল জাকির হোসেন, রাজীব আহাম্মদ প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ ষড়যন ত র য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক

মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মাদক পাওয়া গেছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাগুরা পৌরসভার পারলা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।

মাগুরা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পৌরসভার পারলা এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন। গতকাল রাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১টি চায়নিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি, ১টি এয়ার গান, এয়ারগানের ২৬৪টি গুলি, ২টি চায়নিজ কুড়াল, ৬টি চাপাতি, ২ বোতল মদ, ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও ১১টি মুঠোফোন ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়।

তবে এ অভিযানকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন আটক হওয়া ফরিদ হাসান খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান। তিনি আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইসহ যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাগুরার বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁরা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার। অভিযানে যে টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেটা আমাদের ব্যবসায়িক টাকা। যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো ওখানে ছিল না। ওখানে আমাদের ১৬ একর জমির ওপর ফার্ম, যে দেশি অস্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ওই ফার্মের পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’

জানতে চাইলে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্ত্র, মাদকসহ তাঁর সহযোগীদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, সকালে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
  • দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে: পিন্টু