অনলাইনে বেতন-ফি দেবে শিক্ষার্থীরা
Published: 7th, February 2025 GMT
কুলাউড়ায় মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মাসিক বেতন, ভর্তি, সেশন ও পরীক্ষা ফিসহ চার্জ জমা দিতে পারবে।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন উপজেলার সবকয়টি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের প্রধানদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের অনলাইন ‘সোনালী সেবা’ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও পরীক্ষা ফ্রি আদায়ের জন্য সোনালী ব্যাংক পিএলসির পক্ষ থেকে অফার লেটার উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়। পরে সোনালী ব্যাংক পিএলসি কুলাউড়া শাখায় ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকের চুক্তি হয়।
বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো.
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ এসেছে। গত নভেম্বর মাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নীতিমালা অনুসারে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকে বসি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন, ফি, চার্জসহ প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি স্কুলে জমা না দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী ছিল তাদেরকে সোনালী ব্যাংক অফার লেটার দিয়েছে। তারপর স্কুলগুলো সম্মতি দিলে ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির আওতায় আসবে। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, কুলাউড়ার ইউএনওর উদ্যোগটি খুবই চমৎকার। এই উদ্যোগটি অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। জেলার সব উপজেলায়ও পদ্ধতিটি চালু করা হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে নিলামের টাকা আত্মসাত করল বিএনপি নেতা
গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. মাইজ উদ্দিন (৫০) নামের এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার আধা পাকা ভবন ও নিলামে গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৯ মার্চ) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে উপজেলার নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার আবু হায়দার মো. নোমান লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত মাইজ উদ্দিন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে ও কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার আধা পাকা পুরনো টিনশেড ঘর ও গাছ বিক্রির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিলামের জামানতের টাকাগুলো মাদ্রাসার মাওলানা নূরুল হকের কাছে জমা রাখা হয়। বিএনপির নেতা লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষকের কাছে রাখা টাকাগুলো নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
নারী-শিশুদের প্রতি বাড়তে থাকা সহিংসতা উদ্বেগজনক: সালাহউদ্দিন
আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ
নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার আবু হায়দার মো. নোমান অভিযোগ করে জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সামনে খোলা নিলাম হয়। সেখানে ৬ জন জামানত জমা দেন। তাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তির টাকা জামা রাখা হয় মৌলভী শিক্ষকের কাছে। শিক্ষা কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর বিএনপির নেতা লোকজন নিয়ে এসে নিলামের টাকা নিয়ে যান। টাকা ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দেন।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাদ্রাসার নিলামের টাকা লুটের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ‘‘মাদ্রাসার নিলামের জামানতের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/রফিক/বকুল