সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লাকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই এবারের আসরে মাঠে নামার আগে তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল শিরোপা ধরে রাখা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে তামিম-মাহমদুউল্লাহরা। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে দক্ষিণবঙ্গের দলটি।

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল বরিশালের, হাতে ৬ উইকেট। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ উইকেটে থাকায় জয়টা একরকম হাতের মুঠোয়ই ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। তবে ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সমীকরণ একেবারে পাল্টে দেন শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারে কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করার পাশাপাশি পাঁচ রান দিয়ে চিটাগংকে ম্যাচে ফেরান শরিফুল।

১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বলে কেবল ২ রান নিতে পারে বরিশাল। উইকেটে তখন মোহাম্মদ নবি ও রিশাদ হোসেন। দুজনই উইকেটে একদম নতুন। সবদিক বিবেচনায় ম্যাচটা তখন অনেকটাই হেলে পড়েছিল চিটাগংয়ের দিকে।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের একাদশ আসরের ফাইনাল ম্যাচে চিটাগং কিংসকে উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে ওপর প্রান্তে তাওহীদ হৃদয় ছিলেন একটু সাবধানী। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে ৫৭ রান তুলে দারুণ শুরু এনে দেন বরিশালকে।

দারুণ শুরুর পর নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। একই ওভারে তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে শরিফুল ইসলাম একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। দ্রুত সময়ের ব্যবধানে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়ও। ২৮ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। আর ১ ছক্কা ও ৯ চারে ২৯ বলে ৫৪ রান করেছেন তামিম।

দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও বরিশালের ছন্দপতন হয়নি। মিডল অর্ডারে হাল ধরেন কাইল মায়ার্স। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২৮ বলে ৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই অলরাউন্ডার দলকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে ১৮তম ওভারে আবারও বরিশালকে বিপদে ফেলেন শরিফুল।

শেষ ২ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২০ রান।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ স্লোগানটি কীভাবে এল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে কয়েকটি স্লোগান আন্দোলনকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও শীর্ষ ছাত্রনেতাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ স্লোগান ব্যবহার করেছেন।

জুলাইয়ে তরুণেরা নিজেরা যেমন স্লোগান তৈরি করেছেন, তেমনি ব্যবহার করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া স্লোগানও। তার একটি ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

এ স্লোগানের পটভূমি কিউবার স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কিউবার সংবাদমাধ্যম হাভানা টাইমসে প্রকাশিত একটি লেখা থেকে জানা যায়, স্লোগানটির জন্ম ১৮৬৮ সালে স্পেনের উপনিবেশ থেকে কিউবার স্বাধীনতার সংগ্রামের শুরুর দিকে। তখন স্লোগানটি ছিল ‘স্বাধীনতা অথবা মৃত্যু’।

এরপর কিউবার কাউতো নদী দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবে পতন ঘটে কিউবার মার্কিন মদদপুষ্ট বাতিস্তা সরকারের। যদিও শান্তি ফেরেনি। কিউবায় ঘটতে থাকে একের পর অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা। ১৯৬০ সালের মার্চে কিউবার রাজধানী হাভানার সমুদ্রবন্দরে একটি ফরাসি জাহাজে বোমা হামলা হয়। সে হামলায় মারা যান ১০০ জন।

ওই বছরের ৬ মার্চ নিহত ব্যক্তিদের শেষকৃত্যে সহযোদ্ধাদের লাশের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে ফিদেলের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে শপথ নেন ‘স্বদেশভূমি অথবা মৃত্যু’ স্লোগান দিয়ে।  

ফিদেল কাস্ত্রো

সম্পর্কিত নিবন্ধ