আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মধ্যে কল্যাণ নেই: জামায়াত আমির
Published: 7th, February 2025 GMT
বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ধানমন্ডি-৩২ সহ দেশে গত দুই দিনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ইঙ্গিত করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, “গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তা বিবেক ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে অনেকটাই সমর্থনযোগ্য নয়। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে কোনভাবেই কোন দায়িত্বশীল নাগরিক সম্পৃক্ত হতে পারে না।”
আরো পড়ুন:
আ.
১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়ার
“আমাদের আহ্বান, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। সবাই মিলে জোর দাবি তুলি-গত ১৫ বছরে যারা খুন, গুম, লুটপাট, দুর্নীতি বিশেষভাবে ২৪ এর গণহত্যা সংগঠিত করেছে, অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার এবং সাজা নিশ্চিত করা হোক।”
শফিকুর রহমান পাচারের অর্থ, লুণ্ঠনের অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে
বলেন, “নিরীহ জনগণের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।”
ধানমন্ডি-৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর জামায়াতের আমির বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উসকানিই মূলত দায়ী। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা কখনোই বাংলাদেশের মানুষকে অন্তরে ধারণ করে না। এটি তার ঘৃণিত স্বভাব।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দিন: সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এই আহ্বান জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ‘নগর সম্মেলন ২০২৫’ আয়োজন করে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাইরে নির্বাচন দিলে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। হুট করে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। তাড়াহুড়া করা যাবে না নির্বাচনের জন্য।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্সের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত। আর একমাত্র সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় সরকার গঠন সম্ভব। আমরা দ্বিতীয় কোনো ফ্যাসিস্ট চাই না। সংসদে বসে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা শুনব। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত। কোনো দল যদি ১ শতাংশ ভোটও পায়, তার প্রতিনিধি সংসদে থাকবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের কিংবদন্তিতুল্য আখ্যান। দেড় হাজারের অধিক নিহত এবং ৩০ হাজারের অধিক আহত ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে সৃজিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। যুগান্তকারী এই ইতিহাস বিনির্মাণে অংশ নিয়েছে জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-পেশা-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলেম-উলামা এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরাও। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।’
নগর সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নগর সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ২০২৫-২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।