বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ভিসি ও প্রো-ভিসি
Published: 7th, February 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন। একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে সভা করতে বৃহস্পতিবার বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের একটি চিঠি দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী। তবে উপাচার্য অধ্যাপক শূচিতা শরমিন ওই আহ্বানে সাড়া না দিতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের পাল্টা চিঠি দিয়েছেন।
অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর নোটিশে বলা হয়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় উপ-উপাচার্যের দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা হবে। এতে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তবে এরপর উপাচার্যের পক্ষে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের পাল্টা চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশে কোনো পত্র পাঠাতে পারেন না। সঙ্গত কারণে উপ-উপাচার্যের পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। চিঠিটি কোনো শিক্ষককে আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নিদেশে অনুরোধ করা হলো।
রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই চিঠি দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১১ (ক) এর ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য। তবে তিনি যোগ দিয়ে গত ৩ মাসে মৌখিক ও লিখিতভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ জানালেও তা করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে একাডেমিক কার্যক্রম দেখভাল এবং দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা আহ্বান করেন। এর পাল্টা চিঠি বিব্রতকর।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য শূচিতা শরমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য উপ উপ চ র য উপ চ র য র
এছাড়াও পড়ুন:
হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দিন: সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এই আহ্বান জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ‘নগর সম্মেলন ২০২৫’ আয়োজন করে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাইরে নির্বাচন দিলে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। হুট করে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। তাড়াহুড়া করা যাবে না নির্বাচনের জন্য।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্সের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত। আর একমাত্র সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় সরকার গঠন সম্ভব। আমরা দ্বিতীয় কোনো ফ্যাসিস্ট চাই না। সংসদে বসে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা শুনব। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত। কোনো দল যদি ১ শতাংশ ভোটও পায়, তার প্রতিনিধি সংসদে থাকবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের কিংবদন্তিতুল্য আখ্যান। দেড় হাজারের অধিক নিহত এবং ৩০ হাজারের অধিক আহত ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে সৃজিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। যুগান্তকারী এই ইতিহাস বিনির্মাণে অংশ নিয়েছে জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-পেশা-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলেম-উলামা এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরাও। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।’
নগর সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নগর সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ২০২৫-২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।