চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সংসদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ বলেছেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ির কাছে একটি তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মিজানুর রহমান আজহারী আসবেন। মাসব্যাপী জেলাজুড়ে প্রচার চলছে। আর মাসব্যাপী চাঁদাবাজিও চলছে। সমস্ত জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে। ব্যাংক, শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজি এবং মানুষের বাড়ি বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজি চলছে।

শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের টাউন হাইস্কুল মাঠে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেঁড়ে নিয়েছিল, সারা দেশে তাদের নির্মম পরিণতি হয়েছে এবং জনগণের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। হারাম টাকা দিয়ে তারা যেসব বাড়িঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করেছিল সেগুলো আজ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দীর্ঘ পনেরো বছর তারা দেশের মানুষকে গুম করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছে। তার বহি:প্রকাশ এখনো থেমে নেই।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, প্রফেসর ইউনূসের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে স্বল্পতম সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যতদূত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহ আছে কি না তা প্রতীয়মান হচ্ছে না। সরকারের জায়গা থেকে এখনো সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা নেই। তাই আমরা দাবি করবো যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। নির্বাচনের পথে হাঁটুন। জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আশ্বাস ফিরিয়ে দেন। জনগণের আকাংঙ্খা, তারা তাদের নির্বাচিত প্রার্থী নির্বাচিত করবে এবং সব সমস্যা সংসদে নিরসন হবে। সংস্কার একটি দীর্ঘ ও চলমান প্রক্রিয়া। তাই সংস্কার কার্যক্রম চলবে এবং পাশাপাশি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাও আমাদের শুরু করতে হবে। 

এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল মাসিদুল হক নিখিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বারেক, থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব তাসেম আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান অনু, যুবদল নেতা মজিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জামিউল হক সোহেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিরুল ইসলাম পলাশ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার জাহান ও সহ-সভাপতি মিম ফজলে আজিমসহ প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম জ ন র রহম ন আজহ র প ইনব বগঞ জ ব এনপ র জনগণ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ অঞ্চলেও অরক্ষিত গাজাবাসী

বাড়ি, আশ্রয়শিবির কিংবা ইসরায়েল ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল কোথাও যেন নিরাপত্তা মিলছে না গাজাবাসীর। গতকাল বুধবার রাতের অন্ধকারে নুসেইরাহ শরণার্থী শিবির ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষিত আল-মাওয়াসি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহতের সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এর মধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে নিহত হয়েছেন দু’জন পুরুষ এবং গুরুতর আহত হয়েছেন সাতজন। এ ছাড়া আল-মাওয়াসি আশ্রয়কেন্দ্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রাণ গেছে এক নারী ও এক শিশুর। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪৫টি স্থাপনায় হামলার কথা স্বীকার করেছে আইডিএফ। নিজেদের এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজার কোথাও এখন নিরাপত্তা নেই। আছে শুধুই মৃত্যু আর ধ্বংস। খবর আলজাজিরা ও এএফপির

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলের শুজাইয়া অঞ্চলে একাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৮০ জন। এসব হামলায় অন্তত ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এলাকাটি। জীবিত বাসিন্দারা  ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া নারী ও শিশুদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় এলাকাটিতে উড়ছিল ইসরায়েলি ড্রোন। উদ্ধারকারীরা জানান, ভারী বোমায় মৃতদেহগুলো এমনভাবে ছিন্নভিন্ন হয়েছে, সেগুলো শনাক্ত করাও কষ্টকর। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৮৪৬ জনে। তবে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭শর বেশি।

গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চালানো ব্যাপক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলমান হত্যাযজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য কলঙ্ক।’ এদিকে গাজাকে ‘মৃত্যু উপত্যকা’ হিসেবে সম্বোধন করে ইসরায়েলের অবরোধ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, ‘গাজা এখন একটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এবং সেখানকার বেসামরিক জনগণ মৃত্যুর গোলক ধাঁধায় আটকে পড়েছে।’ গুতেরেসের এই মন্তব্যের আগে জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থার প্রধানরা বিশ্বনেতাদের কাছে গাজার অধিবাসীদের জন্য জরুরি সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।  তবে এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহের কোনো সংকট নেই এবং গুতেরেস ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার’ করছেন।

অন্যদিকে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হোসাম বদরান মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এই যুদ্ধ চিরকাল চলতে পারে না। তাই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো অত্যাবশ্যক।’ 

গাজায় ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপকভাবে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে শিশুরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬০ হাজার শিশু অপুষ্টির ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক হুমকির কারণে ২১টি পুষ্টি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৩৫০ গুরুতর অপুষ্ট শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
  • নিরাপদ অঞ্চলেও অরক্ষিত গাজাবাসী
  • প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়াতে চায় ঢাকা-মস্কো
  • পিছিয়ে গেল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’
  • ইউনূস-মোদি বৈঠকের ফলাফল কী
  • ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক হতে হবে সম্মান ও সমতার
  • ফিলিস্তিনের জন্য আমরা আরও যা করতে পারি
  • বিক্ষোভের আড়ালে লুটপাট–ভাঙচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ জাসদের নিন্দা
  • ‘জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে’
  • ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি