ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ১২, বাড়ি ভাঙচুর
Published: 7th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি ঘটনাটি ঘটে বলে জানান বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী।
আহতরা হলেন- আলআমিন, দুধ মিয়া, সিরু মিয়া, বাচ্চু মিয়া, শাহজাহান, সানাউল্লাহ, বিল্লাল মিয়া, দ্বীন ইসলাম ও বোরহানসহ ১২ জন।
আরো পড়ুন:
কানাইপুরে আ.
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ৮
স্থানীয়রা জানান, নাজিরাবাড়ির সিরু মিয়ার ছেলে আরমানের সঙ্গে ইকতার মিয়ার ছেলে রিফাতের দ্বন্দ্ব হয়। এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেলোয়ার এবং আনোয়ারের মারামারি হয়। এলাকার সাচ্চু মিয়া ও সানাউল্লাহ মাস্টার ঘটনাটি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে গতকাল বৈঠকে বসেন। তবে, দুই পক্ষ মীমাংস বৈঠক থেকে উঠে যায়। এসময় ইকতার হোসেন লাঠি দিয়ে হেদায়েত উল্লাহকে আঘাত করেন। এ ঘটনায় আজ দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় শাহাজাহানের অটো গ্যারেজ ও তার বসত ঘর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনের মতো আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। শুক্রবার রাত ৭টা পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ শহরে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী খুন
নারায়ণগঞ্জে তুচ্ছু ঘটনায় অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে। এবং আটক মো.সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে।
আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়। এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণ বিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিলো। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সকলে তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল শেষ হয়। তখন মিছিলে অংশ নেয়া অনেকেই প্রেসক্লাবের দক্ষিণ পাশের সড়ক হয়ে বালুর মাঠের দিকে যেতে থাকে। এসময় এক যুবক বলে ৫ আগস্টের আগে এরা কোথায় ছিল? এখন মিছিলে আসছে। এ কথা বলার সাথে সাথে যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে সেই ছেলে পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ঘাতক যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোয়ায় কাজ করতো। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে।