ইমরানকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার আহ্বান পিটিআইয়ের
Published: 7th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরানকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং তাঁর পছন্দের একজন চিকিৎককে শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম বলেন, ‘ইমরান খানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁকে সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। ইমরানের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বের। তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় গাফিলতির পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
বিবৃতিতে ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, ইমরানকে তাঁর ছেলেদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। এটা তাঁর ‘মৌলিক, আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার।’
লাহোরে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি
এদিকে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল পিটিআই। তবে লাহোর নগর প্রশাসন তাদের সেই আবেদন বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে নিরাপত্তাকে। ৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জালিয়াতির নির্বাচনের’ প্রথম বর্ষপূর্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে পিটিআই। দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুল তলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়।
নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং কাবাডি খেলা।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ
দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোনো সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নয়নে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতিবানদের কাছে এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। এদিনে শুধু একটিই গান শুনি- ‘এসো হে বৈশাখ’। কেনো বৈশাখের উপরে কি দশবিশটা গান থাকতে পারে না?”
তিনি আরো বলেন, “নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই, নিজস্ব শেকড়ের গান রচনা করতে হবে। বৈশাখের চেতনা হচ্ছে- অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সুস্থতার লালন করা।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী