পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরানকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং তাঁর পছন্দের একজন চিকিৎককে শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম বলেন, ‘ইমরান খানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁকে সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। ইমরানের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বের। তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় গাফিলতির পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’

বিবৃতিতে ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, ইমরানকে তাঁর ছেলেদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। এটা তাঁর ‘মৌলিক, আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার।’

লাহোরে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি

এদিকে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল পিটিআই। তবে লাহোর নগর প্রশাসন তাদের সেই আবেদন বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে নিরাপত্তাকে। ৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জালিয়াতির নির্বাচনের’ প্রথম বর্ষপূর্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে পিটিআই। দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনে শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ৩০টির বেশি দোকানও পুড়ে গেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা এই আগুন লাগার কারণও জানিয়েছে আজ বুধবার। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি বা কেউ আহতও হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। একে একে আরও ইউনিট ঘটনাস্থলে যেতে থাকে। ভোর পৌনে ৫টার মধ্যে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে আরও দুটি ইউনিট যোগ হয়। ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সাততলা বস্তিতে আগুনে ১৪ জন মালিকের বিভিন্ন আয়তনের ১৫২টি কাঁচা ও সেমি পাকা রুম এবং ২টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন লাগার মূল কারণ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট।

তালহা বিন জসিম বলেন, আজকের দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ