এবার ওটিটিতে আসছে ফারিণ অভিনীত ‘ফাতিমা’
Published: 7th, February 2025 GMT
গত বছর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ধ্রুব হাসানের প্রথম সিনেমা ‘ফাতিমা’। এর আগে ইরানের ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে ইস্টার্ন ভিস্তা কম্পিটিশন বিভাগে অংশ নিয়ে পুরস্কারও জিতে নেয়। ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ক্রিস্টাল সিমোর্গ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তাসনিয়া ফারিণ। উৎসব ঘুরে আসা ছবিটি এবার ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে।
সিনেমার পরিচালক ধ্রুব হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে ২০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে সিনেমাটি। তিনি বলেন, ‘গত বছরই ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে ওটিটিতে “ফাতিমা”র মুক্তি পিছিয়ে যায়।’
গত বছরের ২৪ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি, চলতি বছর প্রদর্শিত হয়েছে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেও। এবার ঘরে বসেই ছবিটি দেখতে পারবেন দর্শকেরা।
‘ফাতিমা’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে তাসনিয়া ফারিণ ও মোহনা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব’
বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় দুই দিনের ‘লোক উৎসব’ শুরু হওয়ার কথা আছে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁর জন্মস্থান উপজেলার উজানধল গ্রামের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
আজ বিকেল চারটার দিকে শাহ আবদুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজীব সরকার ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। এবার উৎসবের সহযোগিতায় আছে বিকাশ।
উৎসবের আয়োজক শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও তাঁর ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল বলেন, এবারও উৎসবে বাউল করিমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি শাহ আবদুল করিমের শিষ্য, অনুরাগী ও স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর গান গাইবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।
শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টি জুড়ে মানুষ, সাম্য ও প্রেমের জয়গান আছে জানিয়ে নূর জালাল বলেন, কালনী নদীর তীরে বসেই মনের গভীর থেকে উঠে আসা মাটির সুরে সাদাসিধে কথা আর উপমা বসিয়ে তিনি তৈরি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। এই মরমি শিল্পীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন।
বাংলা লোকগানের এই বাউল সাধকের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে উজানধল গ্রামে উৎসবটি আয়োজিত হয়ে আসছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি সংগীতপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামটি।