মৌলভীবাজারে মণিপুরিদের নিংতম কাং টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
Published: 7th, February 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাংলাদেশ মণিপুরি কাং ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘নিংতম কাং টুর্নামেন্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আদমপুর ইউনিয়নের নয়াপত্তনের কাংশংয়ে বাংলাদেশ মণিপুরি কাং ফেডারেশন আয়োজিত নিংতম কাং টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মণিপুরি কাং ফেডারেশনের উপদেষ্টা রাধামোহন সিংহ।
ফেডারেশনের সভাপতি সমাজসেবক ইবুংহাল সিংহ শ্যামলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি কে মনিন্দ্র সিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মণিপুরি কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হিরণ্ময় সিংহ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মণিপুরি কাং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নারেংবম সমরজিত সিংহ, সদস্য নোংমাইথেম অশোকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী খেলায় কোনাগাঁও উজাও লাইরেম্বী কাংখুৎ ৭-৫ পয়েন্টে হামোমখুল মহাদেব কাংখুৎকে পরাজিত করেন। এবারের নিংতম কাং টুর্নামেন্টে ছয়টি দল অংশগ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, ‘কাং খেলা’ মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের অভ্যন্তরীণ খেলা। দ্বাদশ শতাব্দীতে মহারাজ ‘লোইতোংবা’র শাসনামলে কাং খেলা উদ্ভাবিত হয়। এই খেলার জন্য বড় এক মণ্ডপ ঘরের প্রয়োজন হয়। সেখানে নির্ধারিত মাপে কোর্ট কেটে দুই পক্ষের মধ্যে খেলা হয়। ফাইবার নির্মিত নির্দিষ্ট মাপের কালো রঙের ‘কাং’ নিয়ে খেলা হয়।
এক-এক দলে সাতজন করে খেলোয়াড় থাকে। প্রথমে দাঁড়িয়ে ‘চেকফৈ’ মারতে হয়। অপর প্রান্তে বসানো নির্ধারিত টার্গেট দুইবার স্পর্শ করতে পারলে বসে ‘লমথা’ মারার যোগ্যতা অর্জিত হয়।
লমথা যথানিয়মে টার্গেট স্পর্শ করতে পারলে একটি পয়েন্ট অর্জন করে। এক পক্ষ পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হলে অপর পক্ষ খেলার সুযোগ পায়। এভাবে খেলা এগিয়ে চলে এবং নির্ধারিত সময়ের শেষে যে দলের পয়েন্ট বেশি হবে, তারাই বিজয়ী হয়।
ঢাকা/আজিজ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসির ফরম পূরণ চলছে, শেষ ১০ মার্চ
এইচএসসি (উচ্চমাধ্যমিক) পরীক্ষার ২০২৫ সালের ফরম পূরণ চলছে। গত ২ মার্চ থেকে চলছে ফরম পূরণ কার্যক্রম। আগামীকাল সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত চলবে ফরম পূরণ কার্যক্রম। ১১ মার্চ পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে ফি। গত বছরের তুলনায় এ বছর সব বিভাগের ফরম পূরণে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপরোক্ত সময়ের পর বিলম্ব ফিসহ ১২ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে। ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। এবার বিজ্ঞান বিভাগে ফি ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৮৫ টাকা। গত বছর বিজ্ঞানের পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি ছিল ২ হাজার ৬৮০ টাকা। ফরম পূরণ ফি এবার বেড়েছে ১০৫ টাকা। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগের ফি ২ হাজার ২২৫ টাকা। গত বছর এ দুই বিভাগে ফি ছিল ২ হাজার ১২০ টাকা।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা–২০২৫ নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয় বা পত্রের পরীক্ষা হয় তিন ঘণ্টা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নম্বর বিভাজন অনুযায়ী, প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বাংলা, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বা ইসলামের ইতিহাসের মতো তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে প্রতি পত্রে ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তবে ইংরেজির প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষা হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বা ভূগোলের মতো ব্যবহারিক বিষয়গুলোর প্রতি পত্রে ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ৭৫ নম্বরের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। এ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের আয়ারল্যান্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ, পরীক্ষা তিনটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মোট তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিট বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। আর বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবে পরীক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনবাউবি ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ২১ ঘণ্টা আগে