মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরাল পড়ে ছিল ২ কিমি দূরে
Published: 7th, February 2025 GMT
মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল দুই কিলোমিটার দূরে কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় সড়কে পড়ে ছিল। আজ শুক্রবার ভোরে স্থানীয় লোকজন মুজিবনগর থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ম্যুরালের ক্ষতবিক্ষত অংশ তুলে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর শতাধিক তরুণ মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢোকেন। পরে আজ ভোরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের বেশির ভাগ অংশ কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় সড়কে পড়ে ছিল। পড়ে থাকা অংশে মাথা ও হাত ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ম্যুরালের ভাঙা অংশ নিয়ে গেছে। মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে শতাধিক তরুণ-যুবক রড, বাঁশ ও হাতুড়ি নিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন। প্রথমে তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে গুঁড়া করে ফেলেন। একই সময় এলোপাতাড়ি ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ ভাস্কর্যে আঘাত করা হয়। আরও একটি বিক্ষুব্ধ দল অন্য ভাস্কর্যগুলোতে ভাঙচুর চালায়। কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা–সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। শহীদ স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকটি ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় ৩০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন র কমপ ল ক স র ম জ বনগর ভ স কর য
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আফতাবনগরে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন কলেজ–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই শহীদ কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘ইসরায়েলের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও এক হও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা, ওয়াপদা ও বাড্ডা সড়ক ঘুরে পুনরায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। আজকে তারা ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। পাঁচ থেকে দশ বছর পরে তারা বড় মুসলিম দেশগুলোকেও আক্রমণ করবে। অবিলম্বে নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রাজধানীর আফতাবনগরে বিক্ষোভ থেকে মুসলমান দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আজ সোমবার বিকেলে