পার্বত্য বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “আমি চাই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কোয়ালিটি এডুকেশন ও লাইভলিহুড ডেভলপমেন্ট। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের বেসিক ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা জরুরি”।

শুক্রবার রাঙামাটি সদরের বালুখালি ইউনিয়নের জারুলছড়ি পাড়ার রাঙ্গা বেইজ ক্যাম্পে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশন ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, “আগে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক, চ্যারিটির বিষয়গুলো বাড়ি থেকেই শিখতে হয়। এর ফল আমরা দেখতে পাই ৩৬ জুলাই আন্দোলনে। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই হলো আমাদের চিন্তা, চেতনা ও স্বপ্ন। আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আমাদের পাইওনিয়ার হতে হবে।”

এলামনাই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫ বছর আগে পড়াশুনা করেছি এই পরিচয়েই রাঙামাটির এলামনাই অনুষ্ঠানে এসেছি। ঢাবির অনেকেই এখানে এসেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।”

উপদেষ্টা বলেন, “৩৬ জুলাই আন্দোলনে ঢাকা ইউনিভার্সিটির‌ অনেক ছাত্র-ছাত্রী নিহত ও আহত হয়েছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগানোয় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ”।

এ সময় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা কালজয়ী নামে বিশেষ স্মরণিকার ফলক উন্মোচন করেন। পরে উপদেষ্টা ও অতিথিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

আরো  উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার), রাজা দেবাশীষ রায়, চাকমা চিফ, উপদেষ্টামণ্ডলী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, মং রাজা, মং সার্কেল, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, কঙ্কন চাকমা, যুগ্ম সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খন্দকার রিজাউল করিম, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, শুভাশিস চাকমা, সিনিয়র সহকারী সচিব (পার্বত্য উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব), কীর্তি নিশান চাকমা, সদস্য সচিব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজক কমিটি, অছ্য কুমার তঞ্চঙ্গা, যুগ্ম সদস্য সচিব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজক কমিটি প্রমুখ।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ভ র স ট উপদ ষ ট মন ত র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরোপের ভিসা পেতে ভারতে গিয়ে আটক ৭ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে সাত বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। স্বজনরা জানান, আটককৃতরা ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ায় যাওয়ার জন্য ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া থানার পীরাগড়ি ক্যাম্প এলাকায় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। 

ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা নিজস্ব সূত্রে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। জানালে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

৩ দিনে অজিতের সিনেমার আয় ১৫৮ কোটি টাকা

কয়েক কোটি টাকার প্রস্তাব কেন ফেরালেন সামান্থা?

আটককৃতরা হলেন- গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সুনাম উদ্দিনের ছেলে রবিন হোসাইন (২৮), নওগাঁ জেলার পত্নীতলার রঘুনাথ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫), ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসাইন (২৭), একই উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের আহমদের ছেলে সাইদুর জামান (২৮), নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গাজরা গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (২১) ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ফয়েজ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫)।

তারা সবাই বুলগেরিয়ার ভিসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতে যান এবং দিল্লি যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হন। তাদের কোনো বৈধ ভিসা বা কাগজপত্র না থাকায় ভারতীয় পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের আটক করে।

আটক এক ব্যক্তির স্বজনের সঙ্গে কথা হলে পরিচয় না প্রকাশ করে তিনি বলেন, পরশুরামের একটি দালাল চক্র দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছিল। পথিমধ্যে পুলিশের জেরার মুখে পড়লে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তারা আটক হন। বর্তমানে ভারতে থাকা আত্মীয়দের মাধ্যমে তাদের অবস্থার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ