হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকাতির মামলার আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছেন। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জালাল মিয়া ওরফে জালাল (৩৯) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই দায়িত্বরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.

শহীদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।”

আরো পড়ুন:

গণঅধিকার পরিষদের নেতা নিখোঁজ, মোটরসাইকেল উদ্ধার

চসিকের সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

পালাতক জালাল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মৃত ডুগাই মিয়ার ছেলে।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, “আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

তিনি আরো বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় জালাল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানান, তিনি বাথরুমে যাবেন। পরে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। আসামিকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম, তারাই দায়িত্বে ছিল।”

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় জয়নাল মিয়ার বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর ভাটারা, হাজারীবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থেকে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ পাঁচ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো হলো— চকবাজার থেকে ওয়ার্কশপ শ্রমিক মো. রাকিব (১৯) ও ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ আলী নয়ন (২৪), কামরাঙ্গীরচর থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থী সারিকা হোসেন নাবিলা (১৩), ভাটারা থেকে রিকশাচালক ইউনুস আলী (৩৩) এবং হাজারীবাগ থেকে গৃহবধূ রুপা আক্তার (২৬)।

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার ও তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি নিহত রাকিব কয়েকদিন যাবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন। প্রায় সময়ই তিনি আনমনা হয়ে চলাফেরা করতেন। তার কী হয়েছে এ বিষয়ে পরিবারের কেউ জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দিতেন না। গতরাতে রাকিবকে নিজের ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে রাকিবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কাউছার জানান, আমরা খবর পেয়ে হোসনিদালান রোডের ছয়তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাজ্জাদ আলী নয়নের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠাই। প্রাথমিক তদন্তে  জানতে পারি তিনি সিনেমা ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। তবে কী কারণে তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

অন্যদিকে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গৃহবধূ রুপা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গৃহবধূ রুপা নিজের ঘরের থেকে দরজা লক করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি হতে পারে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) ইমরান হোসেন জানান, কামরাঙ্গীরচরের খালপাড় অটোস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সারিকা হোসেন লাবিবার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, সে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। সেখানে তার লেখাপড়া ভালো লাগতো না। এ কারণে তার বাবা রাগারাগি করতেন। পরে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পারি।

অপর আরেক ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা খবর পেয়ে ভাটারার নূরেরচালা এলাকার নাসির উদ্দিনের টিনশেডের বাসা থেকে রিকশা চালক ইউনুস আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। 

প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে কোনো কারণে সে হতাশাগ্রস্ত ছিল। নিহতের স্ত্রীও এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারেননি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান এসআই আসাদুজ্জামান।

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার
  • মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চে শতভাগ স্কলারশিপ
  • শিক্ষার্থী আটকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা: এসআই প্রত্যাহার
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার