বাংলাদেশিকে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
Published: 7th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে এক বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার রঘুনাথপুর-ফতেপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০ এর ২ এসএস ও ১০ এর ৪ এসএস-এ ঘটনাটি ঘটে। যা আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ গজ অভ্যন্তরে বলে জানিয়েছেন উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান।
নিহত বারিকুল ইসলাম (৩৬) একই ইউনিয়নের নামোজগনাথপুর স্কুলছাম গ্রামের সেতাউর রহমানের ছেলে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা: আ.
নারায়ণগঞ্জে ২১ মামলার আসামি সাদ্দাম গ্রেপ্তার
ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, “আজ ভোরে রঘুনাথপুর সীমান্তের কৃষি জমিতে সেচ দিতে যান বারিকুল ইসলামসহ পাঁচ থেকে ছয়জন কৃষক। এ সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার বাজিতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। বাকিরা চলে আসলেও বারিকুল ইসলামকে আটক করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতের অভ্যন্তরে বাজিতপুর ক্যাম্পের একটি নদীর তীরে নিয়ে বালুর ওপর লাশ ফেলে রাখে।”
নিহতের ভাই সুমন আলী বলেন, “বারিকুল ইসলাম জমিতে সেচ দেওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। লাশ আনার জন্য বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, “এ ঘটনার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব র ক ল ইসল ম ব এসএফ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু, লাশ দেশে আনার দাবি পরিবারের
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগারে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্দী থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানান, অসুস্থ হয়ে ৭ মার্চ রাতে দমদম জেলখানায় তাঁর মৃত্যু হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মরদেহ দেশে আনার দাবি করেছেন তাঁরা।
ওই ব্যক্তির নাম আশরাফ হোসেন (৪৮)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আশরাফের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় তাঁর স্বামীকে (আশরাফ) আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার স্বদেশ খালি থানায় সোপর্দ করা হয়। ভারতের আদালত তাঁকে ৩৯ মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাঁকে দমদম জেলখানায় রাখা হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
নাছিমা বেগম আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিচিত একজন মুঠোফোনে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। পরে সেখানে তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। স্বজনদের মাধ্যমে লাশ দেশে আনার জন্য কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে আবেদন করেছেন।
আশরাফ হোসেনের ভাই ইসমাইল গাজী বলেন, ‘আমার ভাই পেটের দায়ে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের কাছে ধরা পড়ে। আমরা তার লাশটা দেখতে চাই। সরকার আশরাফের লাশটা আমাদের দেখার সুযোগ করে দেখ (দিক)। এইটা আমাগো দাবি।’
শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানী খাতুন বলেন, আশরাফ হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিবারকে কিছু খাদ্য ও অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করা হবে। তাঁর মরদেহ কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই প্রক্রিয়া চলছে।