ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, “জুলাই-আগস্টের বিপ্লবকে ধ্বংস করার জন্য ফ্যাসিস্ট ও তার দোসররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা নানাভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কোনো অবস্থাতেই তাদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। দেশপ্রেমিক জনতাকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এসব মোকাবিলা করতে হবে।”

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বংশাল থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত থানা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বংশাল থানা কমিটির সভাপতি আলহাজ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আবদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আবুল কাশেম, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি আলহাজ আবদুল আউয়াল, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা গোলামুর রহমান, আল-আমিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম আরো বলেছেন, “রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”

সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য আলহাজ শাহ আলমকে বংশাল থানা কমিটির সভাপতি ও আলহাজ জহিরুল ইসলামকে সেক্রেটারি ঘোষণা করে শপথ পড়ানো হয়।

আজ খিলগাঁও, মুগদা ও কোতয়ালী থানা থানা  সম্মেলনেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলহ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ