ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তসহ তিনজন কারাগারে
Published: 7th, February 2025 GMT
অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ এর উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল ও লিফলেট বিতরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আবু হাসিব মুক্তসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাকি দুই আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ (২৮) ও ঝালকাঠির রাজাপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠানিক সাইফুজ্জামান রুবেল (৩৫)।
এ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। শাহবাগ থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কেএম রেজাউল করিম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারাজানা ইয়াসমিন রাখি তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে ছাত্রলীগের এই তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন। এ ঘটনায় ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাসিনা আমলের প্রথম গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১০ সালে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম গুমের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর আসামিরা হলেন—অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল, কর্নেল মো. মুজিবর, র্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও বরখাস্ত) রিয়াজুল ইসলাম, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মেজর এরশাদ, র্যাব-২ এর তৎকালীন উপ-অধিনায়ক খান মো. আকতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন ও নিসার উদ্দিন আহমেদ কাজল, কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান হুজুর, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের সেক্রেটারি আব্দুল বাসেত মাস্টার, ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেটের সভাপতি শাহজাহান খান, ফুলবাড়ীয়া বঙ্গ কমপ্লেক্সের সভাপতি মো. শাহজাহান, মীর আল মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ফুলবাড়ীয়া টার্মিনাল সংলগ্ন মার্কেটের উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ অজ্ঞাত অনেকে।
২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কাছে চৌধুরী আলমকে তার গাড়ি থেকে বের করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। সে সময় তিনি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর (বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর) ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।
২০১০ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হলে আদালত পুলিশ ও সরকারকে দ্রুত চৌধুরী আলমকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম গুম হওয়ার পর জিডি করলেও তা আর কার্যকর হয়নি সে সময়।
ঢাকা/মামুন/রফিক