ছাত্রলীগ নেতা মুক্তসহ তিন জন কারাগারে
Published: 7th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল ও লিফলেট বিতরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক আবু হাসিব মুক্তসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপর দুই আসামি হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ ও ঝালকাঠির রাজাপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সাইফুজ্জামান রুবেল।
শুক্রবার আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক কে এম রেজাউল করিম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে ছাত্রলীগের ওই তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ ও মিছিল করে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহের সাগান্না বাঁওড়ে ২৯ একর জমির মালিকানা দাবি করে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাঁওড়ের ১২৬ দশমিক ৪৫ একর বিল শ্রেণির জমির মধ্যে ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমি নিজেদের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেড়াদী গ্রামের ৩৫ জন বাসিন্দা।
গ্রামবাসীর দাবি, নিজেদের নামে এসএ ও আরএস রেকর্ডভুক্ত ওই জমিতে তাঁরা দীর্ঘদিন চাষাবাদ করছেন। সরকারি খাজনা দেওয়ার পরও সরকারের নাম ব্যবহার করে ওই জমি দখলের চেষ্টা চলছে।
তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সিএস রেকর্ডে নড়াইলের জমিদার এস্টেটের নামে এক খতিয়ানে ১২৬ দশমিক ৪৫ একর জমি রেকর্ডভুক্ত ছিল। এর মধ্যে এসএ ও আরএস রেকর্ডে ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা করলে পুরো জমি সরকারের বলে রায় দেন আদালত। এরপরও দখলকারীরা জমি ছাড়েননি। বিল শ্রেণির ওই জমি ব্যক্তি মালিকানায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জমির মালিকানা দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাদেব রায়। তিনি দাবি করেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পাশের সাগান্না বাঁওড়ের জলমহাল ইজারা দেওয়ার সময় সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বেড়াদী গ্রামের জমিও অন্তর্ভুক্ত করছে, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বেড়াদী মৌজাভুক্ত সাগান্না বাঁওড়ের মোট জমির পরিমাণ ১২৬ দশমিক ৪৫ একর। একসময় ওই জমি নড়াইল জমিদার এস্টেটের মালিকানাধীন ছিল। পরে জমিদারি বিলুপ্ত হলে ১৬৭ নম্বর দাগভুক্ত ওই সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে চলে যায়। তবে একই দাগের ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমি সদরের হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামের কয়েকজনের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। এসএ ও আরএস রেকর্ডমূলে তাঁরা ওই জমি ভোগদখল করছেন। একই দাগে বিল শ্রেণির জমির কিছু অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে ব্যক্তির নামে রেকর্ডের বিষয়টি জানার পর আদালতে মামলা করে জেলা প্রশাসন। পরে ১২৬ দশমিক ৪৫ একর জমির পুরোটার মালিক সরকার বলে রায় দেন আদালত। রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে বেড়াদী গ্রামের কয়েকজন কৃষক আপিলও করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাসের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হলিধানী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিটন বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ১২৬ দশমিক ৪৫ একর জমিই সরকারি। কয়েকজন দুটো রেকর্ড নিজেদের নামে করিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করে পক্ষে রায় পায়। দখলকারীরা আবার আপিল করেছেন। সরকার জমি দখলে নিতে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে।