গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। একইসঙ্গে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সহযোগীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তা‌রের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে এই ভাঙচুর করা হয়।

এদিন রাত ৮টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকেন। সাড়ে ৯টা থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে কার্যালয়টি ভাঙা শুরু হয়। রাত দশটার মধ্যে আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর রাত ১১টার দিকে শহরের থানাপাড়ায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আহসান হাবীব রাজিবের বাড়ির প্রধান গেট ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মো.

মাসুদ মিয়া জানান, গতকাল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সারা দেশে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক বনে যাওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কতদিন চলবে এই কার্যক্রম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত গাইবান্ধায় সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসরদের শাস্তি এবং গ্রেপ্তার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। গাইবান্ধা সদর থানাকে মৌখিকভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে, যদি পুলিশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করে তাহলে আবারো থানায় অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম তালুকদারকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ