নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ
Published: 7th, February 2025 GMT
হাইকোর্টের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় জলকামান ব্যবহার করে ও ধাওয়া দিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন নিয়োগ বাতিল হওয়া দুই শতাধিক প্রার্থী। হাইকোর্টের রায়ে তাঁদের নিয়োগ বাতিল হয়েছিল। প্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগ বহালের দাবিতে হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে যান। একপর্যায়ে রমনা পার্কের কাছে পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে ও ধাওয়া দিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের ৬৫০০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রায়০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রমনা থানার ওসি ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পরিবাগ মোড়সংলগ্ন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে সরে যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্নিকে হত্যার পর খালা-খালুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভাগ্নিকে (আপন খালাতো বোনের মেয়ে) হত্যার পর খালা-খালুকে গলা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দীন (২৮) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। আহত ২ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী ফারিণ (ছদ্মনাম)। ওইদিন সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিমও খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে ফারিণকে দেখে। ফারিণ নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার গভীর রাতে নাজিম খালার বাড়িতে আসলে ঘরের দরজা খুলে। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে ফারিণ ওয়াশরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে আটক করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ফারিণের মুখের ভিতর কাপড় ঢুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা।
তারা আরও জানান, মেয়েটির চিৎকার শুনে তার নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানলে নাজিম খালা-খালুকেও জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগমকে (৬০) উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ফরিদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফারিণের লাশ উদ্ধার করে চন্দনাইশ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসা খালার বাড়িতে। মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগ্নি ফারিণকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নানী দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।