গডফাদার নারায়ণগঞ্জে ৭২ ফুট লম্বা ব্যানার টানিয়েছিল : ডা. শফিকুর রহমান
Published: 7th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ এতোদিন অনেক কষ্টে ছিল। এই নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাদের তৎকালীন জামায়াতের আমীর ছিলেন গোলাম আযম। তার বিরুদ্ধে এই শহরের এক গডফাদার নারায়ণগঞ্জের সড়কে ৭২ ফিট লম্বা ব্যনাার টানিয়েছিল। তাতে লিখা ছিল, নারায়ণগঞ্জে ওমুকের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে গডফাদার শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমার বিরুদ্ধে খুনের অগ্রীম মামলা করে রাখেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব মারা যান। গডফাদারের সুযোগ হয় নাই? আজ তিনি কোথায়? নারায়ণগঞ্জে নেই? এতো অহংকার ভালো না। দাম্বিকতা ভালো না। সন্ত্রাসকে কখনো পশ্রয় দিতে হয় না। তাহলে দুনিয়াতেই তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। এছাড়া আখিরাতে তাকে শূলে চড়াবেন। যেটা হবে আগুনের মহাকুন্ড। তাই বলি, তওবা করুন। মানুষ মতোন মানুষ হোন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও উস্কানিমূলক কথা বলছেন। উস্কানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তাঁর উস্কানির কারণে যতগুলো ঘটনা ঘটবে এর দায়ভার উস্কানিদাতাকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আগের বিচার তারপর সংস্কার তারপর নির্বাচন। সাড়ে ১৫ বছরে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের যত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে তা ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
জামায়াতের আমীর বলেন, গত ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আর সুকৌশলে এই বিভক্তি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিল। তারা বিভক্তির শুরু করেন পাহাড়িদের নিয়ে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা সবাই বাঙ্গালী। কিন্তু এটা নিয়ে পাহাড়িরা প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে এই যে বিভক্তি শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে। এখনো ওইখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় নাই। তারা এখন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এই বিভক্তি যতোদিন থাকবে ততোদিন এই জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি হবে না। যা দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর প্রত্যক্ষ করেছেন৷
জামায়াত আমীর বলেন, দেশের সাংবিধারিক সকল প্রতিষ্ঠান ধংস করে দিয়েছে আওয়ামীলীগ। দেশের একজন নাগরিকের সব অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। এটাই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আমাদের এই সমাজ হবে বৈষম্যহীন।
তিনি বলেন, আমরা দেশ সেবার দায়িত্ব পেলে প্রথমে শিক্ষায় হাত দিবো। আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসবে মা বোনেরা নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইসল ম র গডফ দ র র আম র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রেজা রিপনের ইন্তেকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের শোক
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও সাবেক পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকা’র বড় ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট ভাই আহাম্মদ আলী রেজা রিপনআজ সকাল সাড়ে আটটায় (সোমবার) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর চেয়ারম্যানবাড়ী সংলগ্নবাইতুন নূর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে (মাসদাইর) মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে।মৃত্যুকালে পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ওএক মেয়ে এবং আত্নীয়স্বজনসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
আহাম্মদ আলী রেজা রিপনেরমৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।