“ইজ্জত-মানসম্মান থাকতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন”
Published: 7th, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অচিরে আপনারা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। এদেশের মানুষ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়।
এদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিয়ে নিজের নেতাকে নির্বাচিত করতে চায়। সুতরাং ইজ্জত মান সম্মান থাকতে আপনারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ও তারিখ ঘোষণা করুন। যার মাধ্যমে এদেশের জনগণ তার পছন্দের দল ও নেতা কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বন্দরে নজরুল ইসলাম আজাদের নানীর বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসে গকুলদাসের বাগে চৌরাস্তা খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি সুস্থতা কামনায় দোয়া ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
আজাদ বলেন, যার রোগমুক্তির জন্য আজকে দোয়া তিনি কে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । যিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক পার্সেনও আপোষ করেনি। এদেশের গণতন্ত্রের জন্য কিন্তু তার দুই ছেলেকে ওয়ান ইলেভেনের সময় কি পরিমান অত্যাচার করেছে আপনাদের মনে আছে।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল তা আপনাদের মনে আছে। আরাফাত রহমান কোকো কি পরিমান অত্যাচার করেছে তাও আপনাদের মনে আছে। এই অত্যাচারের শিকার হয়ে কিন্তু আরাফাত রহমান কোকো এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তারা দুই ভাই যখন জেলে ছিল তখন তাদের কিন্তু সঠিক চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু অনেক রকম ভাবেই অত্যাচার করেছিল। তারপরও কিন্তু উনি বিদেশে যাননি। যিনি এদেশের গণতান্ত্রিক কামে মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আপনারা সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন চিকিৎসাধীন রয়েছে আপনারা উনার সুস্থতার জন্য মন থেকে দোয়া করবেন।
যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। আপনারা দোয়া করবেন বিএনপির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সর্বোপরি জিয়া পরিবারের জন্য। তারেক রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য দীর্ঘ ১৬টি বছর আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি আমাদের জন্য এবং দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উনি যেন সুস্থ থেকে আমাদের জন্য কাজ করে যেতে পারেন তার জন্য আপনারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন।
এসময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ শেষে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তার নানা নানীর কবর জিয়ারত করেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের সঞ্চালনায় এবং বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মোমেন ভূঁইয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.
এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ নজর ল ইসল ম ত র ক রহম ন ব গম খ ল দ র ল ইসল ম র জন য ক র ব এনপ আম দ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি
রেলওয়ের নতুন সূচি অনুযায়ী আজ সোমবার (১০ মার্চ) থেকে সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি শুরু করেছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় ট্রেনটি ঢাকা যাওয়ার পথে, সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সিলেট যাওয়ার সময় ট্রেনের চালক, পরিচালক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নামা যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দিলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কোনো টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়নি।
ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি করতো না। নতুন সূচি অনুযায়ী এখন থেকে যাত্রাবিরতি করবে।
আরো পড়ুন:
ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন
এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
সিলেট যাওয়ার পথে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে জেলা নাগরিক ফোরামের নেতারা ফুল নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন। ট্রেনটি এলে তারা দুই দলে ভাগ হয়ে চালক ও পরিচালককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় ট্রেন থেকে নামা সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অন্যান্য যাত্রীদেরও বরণ করে নেওয়া হয়।
উপস্থিত লোকজন করতালির মাধ্যমে ট্রেনটিকে স্বাগত জানান ও বিদায় দেন। যাত্রীরা এই যাত্রাবিরতিতে তাদের উচ্ছাসের কথা প্রকাশ করেন। এ সময় নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, কমরেড নজরুল ইসলাম, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবৃত্তি শিল্পী ও সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রুবেল/বকুল