চতুর্থ বিয়ের স্বপ্ন দেখেন ছেষট্টির লাকি আলী
Published: 7th, February 2025 GMT
ভারতের জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা লাকি আলী। ‘ও সানাম’, ‘এক পাল কা জিনা’-এর মতো শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। ৬৬ বছরের এ গায়ক জানালেন, চতুর্থবারের মতো বিয়ে করতে চান তিনি।
টাইমস নাউ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন লাকি আলী কেবল তার আইকনিক গানই পরিবেশন করেননি বরং তার পেছনের গল্পগুলোও তুলে ধরেন। সেখানে তার পরবর্তী ইচ্ছা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে লাকী আলী বলেন— “পুনরায় বিয়ে করা আমার স্বপ্ন।”
দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজের এই আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করেন লাকি আলী। এরপর থেকে লাকি আলীর বিয়ে নিয়ে জোর চর্চা চলছে। তবে কাকে বিয়ে করবেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
আরো পড়ুন:
নায়ক শাহরুখ, তবু অভিনয়ের প্রস্তাব ফেরান কাজল
সকালে যজ্ঞ, রাতে মদ্যপান: মুখ খুললেন বিতর্কিত মমতা
লাকি আলি প্রথম ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা মেগানকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।
১৯৯৬ সালে লাকি আলীর ‘সুনো’ অ্যালবাম প্রকাশের সময়ে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক মেগানের সঙ্গে পরিচয়। একই বছরে বিয়ে করেন তারা। এ সংসারে তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। পরে ভেঙে যায় এই সংসার।
২০০০ সালে অনাহিতা নামে পাস্যের এক নারীকে বিয়ে করেন লাকি আলী। এ গায়ককে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। নাম বদলে রাখেন ইনায়া। এ দম্পতির সারা ও রাইয়ান নামে দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু এ সংসারও টিকেনি।
২০১০ সালে ব্রিটিশ মডেল কেট এলিজাবেথ হাল্লামকে বিয়ে করেন লাকি আলী। বিয়ের পর ২৫ বছরের কেট নিজের নাম বদলে আয়েশা আলী রাখেন। এ সংসারে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে আলাদা হয়ে যান তারা।
বলিউডের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা মেহমুদ আলীর ছেলে লাকি আলী। ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে লাকি আলীর খ্যাতি বাংলাদেশেও রয়েছে। গানের পাশাপাশি অভিনয়েও দেখা গেছে লাকি আলীকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনেকগুলো ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে দুটি করা হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “দেশের বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে সংকটের মধ্যে আছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাত সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করা হবে। আমরা অনেকগুলো ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করতে যাচ্ছি। আশা করি, দুটি বড় ইসলামী ব্যাংক তৈরি করা হবে।”
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য সঠিক নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব আছে। এ বিষয়ে আইনি ফাঁক রয়ে গেছে। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একদম নতুন রূপ দেওয়া হবে। একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামী ব্যাংক আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সমস্যাগ্রস্ত। ইসলামী ব্যাংকের জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। আন্তর্জাতিক উত্তম রীতি-নীতি অনুসরণ করে এসব করা হবে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, যারা অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে অন্যরা একই কাজ করতে নিরুৎসাহিত হয়। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা জানি, ব্যাংকিং খাতে অনেক ধরনের হস্তক্ষেপ ও দ্বৈত শাসনব্যবস্থা রয়েছে। এর অবসান হওয়া দরকার। সমগ্র ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য একটি সমন্বিত নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রয়োজন। আমরা সেই লক্ষ্যেও কাজ করছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা হচ্ছে। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তা যেন আগেই জানা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে।
ঢাকা/এনএফ/রফিক