বিপিএলের ফাইনালে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতে ব্যাটিং করছে চট্টগ্রাম কিংস। দুই ওপেনার খাজা নাফি ও পারভেজ ইমনের ব্যাটে ঝড়ো শুরু করেছে চট্টগ্রাম।

দলটি ৬ ওভার শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে। বাঁ-হাতি ওপেনার পারভেজ ইমন ১৫ বলে ৩২ রান করেছেন। নাফি ২১ বলে ২২ রান করে খেলছেন। 

বিদেশি ক্রিকেটারের তারার মেলা বসিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে ‘কাকে রেখে কাকে খেলাব’ এমন অবস্থা তামিম ইকবালের দলের। তবে ডেভিড মালান, মোহাম্মদ নবী ও কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে পেসার মোহাম্মদ আলীকে একাদশে নিয়েছে তারা। ফাইনালের জন্য জেমি নিশামকে ডেকে আনলেও খেলায়নি। 

ফাইনালের জন্য চট্টগ্রাম কোন কোন বিদেশি তারকা আনবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা ছিল। তবে কোয়ালিফায়ারের একাদশেই আস্থা রেখেছে তারা। শুধু আলিস আল ইসলাম ইনজুরিতে পড়ায় নাইম ইসলাম একাদশে ঢুকেছেন।

বরিশালের একাদশ: তামিম ইকবাল, তাওহীদ হৃদয়, ডেভিড মালান, কাইল মায়ার্স, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ নবী, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ আলী।  

চট্টগ্রাম কিংস: খাজা নাফি, পারভেজ ইমন, গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন, হুসেইন তালাত, নাইম ইসলাম, শামীম পাটোয়ারি, আরাফাত সানি, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, বিনোরা ফার্নান্দো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভয় দেখালে আলোচনা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইরান

ইরান আজ সোমবার বলেছে, ‘ভয় দেখানো’ হলে দেশটি কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেবে না।

এর আগে ইরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরাককে কিছু ছাড় দেওয়ার সুযোগ বাতিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়ের আওতায় নিষেধাজ্ঞার পরও ইরাক প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারত।

বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানকে আরও বেশি চাপ দেওয়ার কৌশলের অংশ হিসেবে ইরাকের জন্য বিশেষ ছাড় বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এর পরই ইরান জানাল, ভয় দেখালে দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসবে না।  

জাতিসংঘে ইরানের মিশন গতকাল রোববার ইঙ্গিত দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচির সম্ভাব্য সামরিকীকরণ সম্পর্কে মার্কিন উদ্বেগ দূর করতে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকতে পারে তেহরান। যদিও কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ হবে না।

এর পরদিন, অর্থাৎ আজ সোমবার ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক এমন আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বরাবরই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সামরিকীকরণ বলে কিছুই নেই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরঘাচি বলেন, ‘চাপপ্রয়োগ আর ভয় দেখানোর পর আমরা আলোচনা করব না। এটা কখনোই বিবেচনা করা হবে না। যা–ই হোক না কেন।’

এ বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেন। বিশেষ করে তেল শিল্পকে বিপর্যয়ে ফেলার লক্ষ্যে নতুন করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার জানায়, তেহরানের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞায় ইরাকের ছাড় পাওয়ার বিষয়টি নতুন করে নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইরান যাতে অর্থনৈতিক বা আর্থিকভাবে কোনো ধরনের স্বস্তি না পায়, আমাদের পক্ষ থেকে সেটা নিশ্চিত করা হবে।

ইরাকের গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদার এক–তৃতীয়াংশ জোগান দেয় প্রতিবেশী ইরান। এর ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তেহরান যথেষ্ট পরিমাণ আয়ের সুযোগ পায়।

২০১৮ সালে ইরাককে এই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তেহরানের সঙ্গে সই হওয়া পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র গতকাল বলেন, ইরানের জ্বালানি উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে ইরাককে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসতে হবে।

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রাশ টানা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) সর্বোচ্চ চাপ দেওয়ার কৌশল বেছে নিয়েছেন।

আরও পড়ুনইরানের ওপর ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ আবার ব্যর্থ হবে?২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনপারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ট্রাম্পের কোনো চিঠি পায়নি ইরান০৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ