বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 7th, February 2025 GMT
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের বিরুদ্ধে। ফলে এই অভিনেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানার এক আদালত।
সম্প্রতি লুধিয়ানা আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে রাজেশ খান্না নামের এক আইনজীবী একটি আর্থিক জালিয়াতির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জানা গেছে, মোহিত শুক্লা নামের এক ব্যক্তি ‘রিজিকা কয়েন’ নামে একটি ভুয়া বিনিয়োগ প্রকল্পে ১০ লাখ রুপি বিনিয়োগ করতে বলেন। সেই মামলায় সোনুকে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজিরা দিতে যাননি। পরে বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তবে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের অবস্থান তুলে ধরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সোনু। তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক বা সংযোগ নেই। ইতিমধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে যা করণীয়, করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি বিবৃতি দিবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাঠগড়ায় মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এর আগে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ রাখেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া, হাজির করা হয় আওয়ামী সরকারের সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী, এমপিকেও। তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি ছিলো।
শুনানিকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজী সেলিমের ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে যান আইনজীবী। এসময় মেজাজ হারান তিনি। কিছুটা উচ্চবাচ্য করেন। ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, “আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে রেগে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারবো না।”
তিনি বলেন, “আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।”
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন/ইভা