মাছ ধরা নিয়ে বিরোধে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু, চাচাতো ভাই আটক
Published: 7th, February 2025 GMT
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চকমানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর চাচাতো ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম জামিরুল ইসলাম ওরফে জামু (৪৫)। তিনি চকমানিক গ্রামের হাসান আলী মণ্ডলের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাসেম মণ্ডল (৬৫) ও তাঁর ছেলে আবদুল মতিন (৩৩)। আবুল কাসেম জামিরুলের চাচা।
ঘটনার প্রসঙ্গে চকমানিক গ্রামের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর হোসেন জানান, আবুল কাসেম মণ্ডলের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তাঁর ভাই হাসান আলী মণ্ডলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে স্থানীয় একটি বিলের বিবাদমান জমিতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেন আবুল কাসেম। এ নিয়ে জামিরুলের সঙ্গে চাচা আবুল কাসেমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে জামিরুলের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন আবুল কাসেম। এতে ঘটনাস্থলেই জামিরুলের মৃত্যু হয়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জামিরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানার মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইমরানকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার আহ্বান পিটিআইয়ের
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরানকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং তাঁর পছন্দের একজন চিকিৎককে শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম বলেন, ‘ইমরান খানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁকে সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। ইমরানের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বের। তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় গাফিলতির পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
বিবৃতিতে ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, ইমরানকে তাঁর ছেলেদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। এটা তাঁর ‘মৌলিক, আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার।’
লাহোরে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি
এদিকে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল পিটিআই। তবে লাহোর নগর প্রশাসন তাদের সেই আবেদন বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে নিরাপত্তাকে। ৮ ফেব্রুয়ারিকে ‘জালিয়াতির নির্বাচনের’ প্রথম বর্ষপূর্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে পিটিআই। দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তারা।