চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন সাইম
Published: 7th, February 2025 GMT
সাইম আইয়ুবকে পাওয়ার জন্য পাকিস্তান চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি। কিন্তু গেল জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পড়া ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে তার আরো চার-পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগবে। সে কারণে ঘরের মাঠে আয়োজিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার খেলার কোনো সুযোগ নেই।
উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান ডান হাঁটুর ইনজুরি থেকে ভালোভাবেই সেরে উঠছেন। তবে আরো সময় লাগবে পুরোপুরি সেরে উঠতে। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।
গেল জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের ফিল্ডিং করার সময় ইনজুরিতে পড়েন। ইনিংসের সপ্তম ওভারে রায়ান রিকেলটনের এজ হওয়া ডেলিভারির পেছনে ছুটতে থাকেন সাইম ও আমের জামাল। ডিপ থার্ডে আমের জামাল বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠান কিন্তু সাইম ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে পরে যান এবং হাঁটুতে মোচড় খান। এরপর তাকে সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
জাল টিকিটে সয়লাব মিরপুর, চারগুণ দাম দিয়েও প্রতারিত দর্শকরা
বদলে গেলো বিপিএল ফাইনালের সময়
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই লন্ডনে পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। যাতে করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু পিসিবির চেষ্টা সফলতার মুখ দেখল না।
শুরুতে পিসিবি বলেছিল ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেরে উঠবেন তিনি। তাতে পাকিস্তানের ভক্ত-সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাকে পাওয়া নিয়ে। কিন্তু গেল সপ্তাহে তাকে বাদ দিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবুও নিভু নিভু আশা ছিল। সেটাও শেষ হয়ে গেল আজ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর পাকিস্তান ১৬ মার্চ থেকে ০৫ এপ্রিল পর্যন্ত আট ম্যাচের সাদা বলের সিরিজ খেলবে নিউ জিল্যান্ডে। যেখানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি তিনটি ওয়ানডেও খেলবে। এই সিরিজে খেলতে পারবেন সাইম।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যারা তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে চায় তাদের এড়িয়ে চলি: মাহি
সামিরা খান মাহি বলতে মুখে এক চিলতে মিষ্টি হাসির অবয়ব ভেসে ওঠে চোখের সামনে। কেবল রূপ-লাবণ্যে নয়, অসংখ্য দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন নিজ অভিনয়গুণে। আসছে ভালোবাসা দিবসের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে তাঁর। এরই মধ্যে শেষ করেছেন সাইদুর ইমনের পরিচালনায় ‘প্রশ্ন করো না’ নামে একটি নাটকে। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরশ খান। এ ছাড়া খাইরুল বাশারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটকে জুটি হয়ে আসছেন তিনি।
অভিনয় ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে কাজের ব্যাপারে একটু বেশি হিসাবনিকাশ করছেন। মাহির ভাষ্য, ‘এটি সত্যি যে, ইদানীং কাজের ব্যাপারে বেশি বাছবিচার করছি। একসময় চাইতাম ব্যাক টু ব্যাক কাজ আসুক। এখন তা চাই না। এখন কাজের মধ্যেই থাকতে চাই। তবে সেটা হতে হবে কোয়ালিটিফুল। একটা স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর মন থেকে প্রশ্ন আসে, কাজটি করব কি করব না। আমার কাছে কাজের টিমটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক টিমই তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে চায়। আমি তাদের এড়িয়ে চলি। আমি সময় নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। যে টিমের কাছ থেকে এ সাপোর্ট পাব তাদের সঙ্গে আমি এখন কাজ করছি। এ সিদ্ধান্তের কারণে দর্শকদের ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পেরেছি।’
মাহির কথাগুলো শতভাগ সত্যি তা ‘গার্লস স্কোয়াড’, ‘রাখাল বালিকা’, ‘প্রেমের পাগলামি’, ‘সুতোয় বুনেছি ফুল’, ‘রিকভারি ম্যান’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘হাঙর’, ‘এমন যদি হতো’, ‘একদিন চাকুরী হবে’, ‘ইমোশনাল ম্যান, ‘সকাল বিকাল রাত্রি’, ‘লুঙ্গিবাজ’ কাজগুলোর দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। অভিনয় ক্যারিয়ার নাটক, টেলিছবি ও ওয়েব সিরিজ মিলিয়ে একশটির মতো কাজ করেছেন। প্রতিটি কাজেই পেয়েছেন দর্শক সাড়া।
‘ওভার ট্রাম্প’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওয়েবের ভুবনে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম কাজ দিয়ে দর্শক প্রশংসা কুড়িছেন এ অভিনেত্রী। এরপর থেকেই ওটিটিতে তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে। ওটিটির কারণে অভিনয়শিল্পীরা টিভি-নাটক অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। আপনিও কি সেই একই পথে হাঁটবেন।
মাহির উত্তর, ‘আমার কাছে মাধ্যম কোনো বড় বিষয় নয়। ওটিটিতে ভালো কাজ হলে করব। তাই বলে টিভি নাটক বাদ দিতে হবে, এটা মনে করি না।’ ‘র্যাম্প দিয়ে মিডিয়ার ক্যারিয়ার শুরু। এরপর নাটক ও টেলিছবি ও ওয়েবে কাজ করেছেন তিনি। ভালো গল্প-চরিত্র পেলে যে কোনো সময় সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে বলে জানান এই অভিনেত্রী।
অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে মাহির। একটু সময় পেলে রান্না আর জিমেই কাটে তাঁর সময়। এ ছাড়া প্রমোশনাল কনটেন্ট তৈরি করছেন তিনি। ২০১৪ সালের আরটিভির আয়োজনে ‘মডেল সার্চ’-এ নাম লিখিয়ে হয়ে যান প্রথম রানারআপ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের অনেকেই ঝরে পড়েন। কিন্তু মাহি এগিয়ে যাচ্ছেন আপন গতিতে। এই সুহাসিনীর অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন অনেক। সেই লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলছেন তিনি।