গণ অধিকার পরিষদের নেতা নিখোঁজ, মোটরসাইকেল উদ্ধার
Published: 7th, February 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০) নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলাপাড়া পৌর শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন।
এদিকে, অন্তরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা পোর্ট ফোরলেন ও সিক্সলেন সড়কের রজপাড়া মাদরাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর কিছুটা দূর থেকে অন্তরের ব্যবহৃত একটি হেলমেটও উদ্ধার করে তারা।
আরো পড়ুন:
চসিকের সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জের এসপি আনোয়ার
আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব
এ ঘটনায় অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় এখন একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাতে ১১ টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন অন্তর। এরপর গভীর রাতে থানা থেকে তারা বিষয়টি ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন।
অন্তরের বাবা মো.
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “মোটরসাইকেলটি পার্কিং করা দেখে পায়রা পোর্ট ফোরলেন সড়কের নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। সেটির সামনে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট রবিউল ইসলাম অন্তরের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। আমরা এই মুহূর্তে মাঠ পর্যায়ে কাজে ব্যস্ত রয়েছি।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ট্রান্সশিপমেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, “এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সব অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। এটাতে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি আশা করি, এটা আমরা উতরে যাব।”
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গে শেয়ার করব না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে—সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।”
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল বিষয়ে আপনারা ভারতকে কোনো চিঠি দেবেন কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে বিবেচনা করছি না।”
ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়ক পথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি, এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করব। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।”
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় আছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারব, সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি বলেন, “মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা যায়। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করছি।”
ঢাকা/হাসনাত/রফিক