কুয়েতের কৃষি অঞ্চলে প্রবাসীদের সাথে রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়
Published: 7th, February 2025 GMT
কুয়েতের কৃষি অঞ্চল আব্দালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বিনিময় করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুয়েতের আব্দালি এলাকায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রবাসী ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা সমির মিয়া।
সাংবাদিক আ হ জুবেদের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরী, মিনিস্টার শ্রম আবুল হোসেন, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ভিসা ও পাসপোর্ট বিভাগের কাউন্সেলর ইকবাল আকতার ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি জাকির হোসেন মজুমদার।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সমস্যা, প্রত্যাশা ও অনেক দাবি-দাওয়ার কথা শুনেন।
এ সময় তিনি আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে”। প্রবাসীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাসও দেন রাষ্ট্রদূত।
এছাড়া উপস্থিত প্রবাসীদের পক্ষ হতে অভিযোগ, সমস্যা ও বিভিন্ন পরামর্শ এর কথা তুলে ধরা হলে দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, দূতাবাস তার দায়িত্বে পালনে বদ্ধপরিকর। অবশ্যই প্রবাসীদের সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির প্রবাসী নেতা নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, আব্দুস সালাম, মো.
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচারী ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোনো মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।’’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ৪৫ জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং র্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষে সোনাগাজী সরকারি ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে, সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূর্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ, বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।’’
আরো পড়ুন:
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে জাইমা রহমান
কিছু উপদেষ্টা ভোগ-বিলাসে ব্যস্ত: আসাদুজ্জামান রিপন
তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। কীভাবে কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আপনাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছেন। কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি করে গেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে সংস্কারের নামে সময় যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর না হয়। সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দ্রব্য মূল্যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের কী হবে। তাই জনগণের এসব প্রত্যাশার দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’’
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘জনগণের নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। সব শহীদদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দেশ বিনির্মাণ হবে।’’
বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে। এর বড় কারণ হল, দেশের জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। কীভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে আসবে, নেতাকর্মীদের সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’’
আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন ফারুক, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ বকুল, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সহ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ বেলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, আবদুল লতিফ জনি, জালাল আহমদ মজুমদার, মামুনুর রশিদ, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, আবু তালেব, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা, শহিদ ছাত্রদল নেতা কাওছার উদ্দিনের পিতা ফিরোজ আলম, শহিদ মোহাম্মদ মাসুদের কন্যা মুনতাহ বিনতে মাসুদ, শহিদ জাফর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম প্রমুখ।
এ সময় ২০১৬ সালের ২৫ জুন র্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে ৪৫ জন শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
ঢাকা/এনএইচ