সিরাজগঞ্জে প্রয়াত এমপি স্বপনের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
Published: 7th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের প্রয়াত এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুর রহমান স্বপনের দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর লুটপাট চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে গিয়ে দুটি বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা আওয়ামী লীগের আস্তানা সয়দাবাদে হবে না, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, সয়দাবাদের মাটি বিএনপির ঘাঁটি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শেষে তারা মিছিল করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে প্রয়াত এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, সয়দাবাদে পুনর্বাসনের ৩টি প্লটে প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপন এমপির ৩টি পাকা বাসা রয়েছে। যার মধ্যে একটি একতলা ও একটি দোতলা মিলে দুটি পাকা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মারা যান। এর আগেই এসব বাড়ি তিনি মেয়েদের নামে লিখে দিয়েছেন। যা লোকজনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এমপি স্বপনের বাড়ি থানার পাশে হলেও তা সদর থানার আওতাধীন। এ বিষয়ে সদর থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি, কিন্তু কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ স ব র রহম ন স বপন স বপন র য গ কর
এছাড়াও পড়ুন:
আন্দোলনের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, তারা এখন মারামারি করছেন: সলিমুল্লাহ খান
লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আন্দোলনের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, এখন তারা নিজেরাই মারামারি করছেন। বিপ্লবের ইতিহাস দেখবেন, বিপ্লব নিজেই নিজের ছেলেদের খেয়ে ফেলে। আমরা নানাদিক থেকে দাবি উত্থাপন করেছি, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সভা-সমিতি করার অধিকার ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো সংস্কার করার বিষয়ে হাতই দেয়নি। একই অবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিষয়েও প্রযোজ্য।’
শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনীকুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, এই আন্দোলন আমাদের নতুন কথা উত্থাপন করার অবকাশ দিয়েছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের আপাতত স্বার্থকতা। অভ্যুত্থানের সামনে অজস্র বিবাদ বিরাজমান। অনেকেই বিপদগামী হতে চাচ্ছেন। নৈরাজ্য তৈরি করলে হবে না, আমাদের গভীর ধৈর্যের সঙ্গে এ অগ্নিপরীক্ষায় পার হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হচ্ছে। মূল উৎপাদন শক্তি বিদ্যুৎ, যা না থাকলে কারখানা চলে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, আমরা যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন কাজে আসছে না। ভারত, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে তা কোন কাজে আসছে না। অথচ আমাদের কলকারখানা, ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত না রাখলে উৎপাদন হচ্ছে না।’
মেধার প্রশ্ন না তুলে জাতি ধর্ম বর্ণ নিবির্শেষে সব ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বুনিয়াদি শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ, ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে আমরা এমন এক নতুন প্রজন্ম পাবো, তারা দেশের জন্য উন্নত জনশক্তির শর্ত পূরণ করবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রায়, সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, স্টুডেন্ট এক্টিভিস্ট সাইদুল হক নিশান, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, অ্যাডভোকেট তপংকর চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দুলাল মজুমদার প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেছেন জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক হুজাইফা রহমান।