Risingbd:
2025-03-09@23:10:22 GMT

বইমেলায় ওয়ালিদ আহমেদের দুই বই

Published: 7th, February 2025 GMT

বইমেলায় ওয়ালিদ আহমেদের দুই বই

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়ালিদ আহমেদের দুটি বই। সাদামাটা থেকে প্রকাশিত বই দুটি হলো-‘দূরে গোধূলি’ ও ‘কথার জাদু’।

একুশে বইমেলায় এবারই প্রথম বই প্রকাশ করলেন ওয়ালিদ আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মূলত গান লেখা দিয়ে শুরু করি। ২০১০ সাল থেকে আমার লেখা গান মুক্তি পায়। তারপর নিয়মিত গান লিখে গেছি। পরবর্তীতে নিজের পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্রের গল্প, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখতে হয়েছে। তবে বইমেলায় এবারই প্রথম আমার বই বের হলো। যদিও ইংরেজিতে ‘ইনফিনিট সাকসেস’ এবং ‘ম্যাজিক অফ প্রেজেন্টেশন’ নামে আরো দুটি বই আছে যেটা বিশ্বের সব পাঠকের জন্য এমাজনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।”

ওয়ালিদ আহমেদ বলেন, ‘দূরে গোধূলি’ বইটি মূলত আমার গান ও কবিতা সমগ্র হলেও ‘কথার জাদু’ বইটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। দীর্ঘ ৮ বছর আমি একাধিক রেডিওতে কাজ করেছি। শুরুতে রেডিও জকি ও পরবর্তীতে অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া কিছু টিভি চ্যানেলে উপস্থাপনা করি এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। এই বইটি লেখার পেছনে আমার লক্ষ্য ছিল, যেন সবাই সুন্দর করে কথা বলার কৌশল, আত্মবিশ্বাস, এবং শৈল্পিকভাবে নিজেদের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করার উপায়গুলো বুঝতে পারে। এই বইটি বিভিন্ন পেশাজীবী, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নতুন চাকরিজীবী, রেডিও ও টিভি উপস্থাপক, ব্যাংকার, কর্পোরেট কর্মী, মার্কেটিং ও বিক্রয়কর্মী, শিক্ষক, এবং সোশ্যাল ইনফ্লুএন্সার ও ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে। উপস্থাপনায় আত্মবিশ্বাস তৈরি, কথার দক্ষতা শাণিত করা এবং শ্রোতার সাথে গভীর সংযোগ গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে।”

আরো পড়ুন:

বইমেলায় নতুন উপন্যাস ‘তিতাসের বুনো হাঁস’ 

বইমেলার তৃতীয় দিনে ৩২ নতুন বই প্রকাশিত

বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ধ্রুপদী পাবলিকেশন্সের ৫১৯ নম্বর স্টলে।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল য়

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়— রুল জারি

রাঙামাটি জেলার প্রত্যেক উপজেলা থেকে সদস্য না নিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন দেশের সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক নয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তী পরিষদ পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— এই মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। 

একইসঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রণতি রঞ্জন খীসা ও রাঙাবি তঞ্চঙ্গ্যাকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন। আজ রবিবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, জসিম উদ্দিন, পুলিন বিহারী চাকমা ও উথান মারমা হাইকোর্টে একটি রিট করলে রবিবার হাইকোর্ট থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিটকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো. সুলতাল উদ্দিন, নিবোলাস চাকমা, রতন কুমার।

রিটকারীদের আইনজীবী সুলতান উদ্দীন জানিয়েছেন, আদালত রিট আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি উপজেলা থেকে সদস্য নিয়োগ না করে জেলা পরিষদ পুনর্গঠন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় তা জানতে এবং প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছেন। পরিষদের দুই সদস্য রাঙাবি তঞ্চঙ্গ্যা ও প্রণতি রঞ্জন খীসাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন। 

কেন দুই সদস্যকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে এই আইনজীবী জানান, তাদের মধ্যে রাঙাবি তঞ্চঙ্গ্যা বৈবাহিকসূত্রে নিজের পরিচয় পরিবর্তন করায় নিজ জনগোষ্ঠীর কোটায় বিবেচিত হতে পারেন না এবং প্রণতি রঞ্জন খীসার বিরদ্ধে হত্যা মামলা আছে, যা থেকে তিনি দায়মুক্ত নন।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানিয়েছেন, আদালতের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিস্তারিত এখনো জানেন না। কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর সবার সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। 

গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত হয় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ। কিন্তু জেলার ১০ উপজেলা থেকে প্রতিনিধি না নেওয়া, এক সম্প্রদায় থেকে নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের পরিচয় দেওয়া, হত্যা মামলার আসামিকে সদস্য করা এবং একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে নিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠিত হওয়ায় অভিযোগ উঠলে ব্যাপকভাবে সমালোচনা শুরু হয়। এরই প্রতিবাদে রাঙামাটির জুরাছড়ি, বরকল, কাউখালী ও রাজস্থলী উপজেলার জনসাধারণ মিছিল, মিটিং, স্মারকলিপি পেশ করে। পরবর্তীতে বঞ্ছিত চার উপজেলাবাসির পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট করেন রাজীব চাকমা, জসিম উদ্দিন, পুলিন বিহারী চাকমা ও উথান মারমা।
 
১৯৮৯ সালের ২৫ জুন অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি পৃথক স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠিত হয়, যা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্য জেলা পরিষদ নামে তিন জেলাতে পুনর্গঠিত হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা নিয়ে বিরোধের জেরে শুরুর প্রথমবারের পর আজ অবধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারেনি পরিষদগুলোর। ফলে রাজনৈতিক সরকার প্রথমে চারজন সদস্য ও একজন চেয়ারম্যানের অন্তর্বর্তী পরিষদ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালাত। আওয়ামী লীগের আমলে দুইবার ১৪ জন সদস্য ও একজন চেয়ারম্যান নিয়ে একইভাবে পুনর্গঠিত হতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও একইভাবে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করে ১৫ সদস্যের পৃথক তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ।
 

ঢাকা/শংকর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ 
  • রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়— রুল জারি
  • নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
  • চাঁদাবাজির চেষ্টা, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদকে অব্যাহতি
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ধর্ষণকারীর শাস্তি দাবি
  • আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি, নতুন মুসিবত আনতে নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড
  • ফেনীতে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, খুলনায় গ্রেপ্তার ১
  • তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
  • পরবর্তী বরফযুগ শুরু হবে কবে