অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়ালিদ আহমেদের দুটি বই। সাদামাটা থেকে প্রকাশিত বই দুটি হলো-‘দূরে গোধূলি’ ও ‘কথার জাদু’।
একুশে বইমেলায় এবারই প্রথম বই প্রকাশ করলেন ওয়ালিদ আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মূলত গান লেখা দিয়ে শুরু করি। ২০১০ সাল থেকে আমার লেখা গান মুক্তি পায়। তারপর নিয়মিত গান লিখে গেছি। পরবর্তীতে নিজের পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্রের গল্প, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখতে হয়েছে। তবে বইমেলায় এবারই প্রথম আমার বই বের হলো। যদিও ইংরেজিতে ‘ইনফিনিট সাকসেস’ এবং ‘ম্যাজিক অফ প্রেজেন্টেশন’ নামে আরো দুটি বই আছে যেটা বিশ্বের সব পাঠকের জন্য এমাজনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।”
ওয়ালিদ আহমেদ বলেন, ‘দূরে গোধূলি’ বইটি মূলত আমার গান ও কবিতা সমগ্র হলেও ‘কথার জাদু’ বইটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। দীর্ঘ ৮ বছর আমি একাধিক রেডিওতে কাজ করেছি। শুরুতে রেডিও জকি ও পরবর্তীতে অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া কিছু টিভি চ্যানেলে উপস্থাপনা করি এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। এই বইটি লেখার পেছনে আমার লক্ষ্য ছিল, যেন সবাই সুন্দর করে কথা বলার কৌশল, আত্মবিশ্বাস, এবং শৈল্পিকভাবে নিজেদের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করার উপায়গুলো বুঝতে পারে। এই বইটি বিভিন্ন পেশাজীবী, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নতুন চাকরিজীবী, রেডিও ও টিভি উপস্থাপক, ব্যাংকার, কর্পোরেট কর্মী, মার্কেটিং ও বিক্রয়কর্মী, শিক্ষক, এবং সোশ্যাল ইনফ্লুএন্সার ও ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে। উপস্থাপনায় আত্মবিশ্বাস তৈরি, কথার দক্ষতা শাণিত করা এবং শ্রোতার সাথে গভীর সংযোগ গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে।”
আরো পড়ুন:
বইমেলায় নতুন উপন্যাস ‘তিতাসের বুনো হাঁস’
বইমেলার তৃতীয় দিনে ৩২ নতুন বই প্রকাশিত
বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ধ্রুপদী পাবলিকেশন্সের ৫১৯ নম্বর স্টলে।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল য়
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা খতিয়ে দেখছেন সুযোগ-সুবিধা ও কর্মপরিবেশ।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএসইজেড এ আসে প্রতিনিধি দলটি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শুরুতেই বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (বিএসইজেড) কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এরপর তারা বিনিয়োগ পরিবেশ, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো বিষয়ক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। খতিয়ে দেখছেন সুযোগ-সুবিধা ও কর্মপরিবেশ।
পরিবহন ও জ্বালানি বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বিদেশি উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও জুলাই বিপ্লব পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরতে বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনের অংশ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করানো হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে 'বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট'। চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কারের পূর্বাপর।