পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামে লক্ষ্ণী রানী ভক্ত (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ্ণী রানী ওই গ্রামের মৃত সুমন্ত কুমার ভক্তের স্ত্রী ও পিরোজপুর জেলা আদালতের আইনজীবী তাপস কুমার ভক্তের মা।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম শেখ জানিয়েছেন, তিনি লক্ষ্ণী রানী ভক্তের বাড়ির কিছু খেজুর গাছ কেটেছেন। তার রস দিতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওই বাড়িতে যান নুর ইসলাম শেখ। ঘরে কাউকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির কৃষ্ণা মন্ডলকে ডাকেন তিনি। কৃষ্ণা মন্ডল ঘরে ঢুকে লক্ষ্ণী রানীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
কৃষ্ণা মন্ডল জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে তিনি লক্ষ্ণী রানীর বাড়িতে গেলে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে ঢুকে তিনি ওই বৃদ্ধাকে হাত-পা বাঁধা ও মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন।
নিহতের ছেলে পিরোজপুরের জেলা আদালতের আইনজীবী তাপস কুমার ভক্ত জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে তিনি তার মাকে হত্যার খবর পান। তিনি দ্রুত বাড়িতে এসে বসতঘরের খাটের ওপর তার মায়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান।
তিনি বলেছেন, “স্থানীয় আফজাল শেখ, সন্তোষ হালদার সাধু ও মশিউর রহমান মিঠুসহ একটি গ্রুপের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে মাকে হত্যা করা হতে পারে।”
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/তাওহিদুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাভেদের করা মামলায় কঙ্গনাকে শেষ সুযোগ দিলো আদালত
অভিনেত্রী-বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনৌত ও ভারতের প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতারের মধ্যে আইনি লড়াই দীর্ঘদিনের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার বেশ কিছু মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতার। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরও করেন।
মঙ্গলবার জাভেদ আখতারের করা সেই মানহানির মামলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আগে আদালত তাঁকে শেষ সুযোগ দিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বাড়ি থেকে তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা কারেছেন নাকি খুন হয়েছে-সেই মীমাংসা আজও হয়নি। তার মৃত্যু নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বক্তব্য। সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা নেপোটিজম’র শিকার- এজন্য জাভেদ আখতারকে দায়ী করেন কঙ্গনা। বিষয়টি অসম্মানজনক উল্লেখ করে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় একে একে ৪০ দিন মামলার শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। মঙ্গলবারও শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও আদালতে উপস্থিত হাননি তিনি।
কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পাল্টা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক।
পরে বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তাঁর।
যদিও মামলা ও আদালতের রায় নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনৌত। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও এই সময়।