যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর
Published: 7th, February 2025 GMT
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে আওয়ামী লীগ উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, মনিরামপুর উপজেলা সদরে রাজারহাট-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দুই তলার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি অবস্থিত। গতকাল রাত আটটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল বিক্ষুব্ধ তরুণ এক্সকাভেটর নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে যান। তাঁদের কাছে দুটি সাউন্ডবক্স ছিল। এরপর তাঁরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ শব্দে হিন্দি গান বাজাতে থাকেন। এক্সকাভেটর দিয়ে প্রথমে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভাঙা হয়। এরপর কার্যালয়ের দোতলার জানালা ভাঙা হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে ভাঙচুর। এরপর একটি ইঞ্জিনচালিত ভটভটিতে করে ভাঙা কলাপসিবল গেট ও জানালা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুরের সময় ফেসবুক লাইভে এসে নাছিমুল বারী সাইমুন নামের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সৌহার্দ্য, সানি, শরীফ মাহমুদ রয়েছে। শেখ হাসিনা দিল্লি বসে লাইভে এসে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা এবং বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। তারই প্রতিবাদে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশ রয়েছে বাংলাদেশে যত আওয়ামী লীগের অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সব কটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান দাবি করেন, ‘মনিরামপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটি নেই। ভাঙচুরকারীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভাঙচুরের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনাও ছিল না।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আরও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-মেনন-দীপু মনিসহ ৯ জন
আরও নতুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুসহ ৯ জনকে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর ছয়জন আসামি হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এ কে এম শহিদুল হক ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ সকাল আটটার পর কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এরপর সকাল ১০টার পর তাঁদের একে একে হাজতখানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতকক্ষে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর শুনানি শেষ হলে তাঁদের আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসানকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট প্রথম গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান। পরে অন্যরা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন।