হবিগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
Published: 7th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল থেকে ওই আসামি পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দেউন্দি এলাকায় ডাকাতদের হামলায় মহসিন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম বাদী একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ জেলার মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর ছেলে ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৪২), একই গ্রামের দুবাই মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল (৩২) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর আহত জালালকে ওইদিন (বৃহস্পতিবার) রাতে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জালাল বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় পুলিশ তাঁর হাতকড়া খুলে দেয়। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ সম্ভাব্য নানা স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে খুঁজে পায়নি।
এ ঘটনায় আজ দুপুর ১টায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ইফতেখারুল হক ও বিজয় কুমার নামের দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এ এন এম সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক এ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য এ ঘটন য় উপজ ল র বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যবসাবান্ধব করতে এনবিআরকে অটোমেশন করা হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের প্রাক্কালে চট্টগ্রামে আয়োজিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব করতে এনবিআরকে অটোমেশন করা হচ্ছে। এবারের বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব বাজেটকে জনবান্ধব করতে ব্যবসায়ীসহ সকলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। যার প্রতিফলন পাওয়া যাবে বাজেটে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাং চেম্বারের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আগামী বাজেটে ঘাটতি থাকবে কিন্তু যাতে মূল্যস্ফীতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। আর রাজস্ব আদায়ে যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হবে করহারও।’’
তিনি বলেন, ‘‘গত অর্থবছরে ৪৫ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। যার মধ্যে ৩০ লাখ করদাতা শূন্য রিটার্নধারী। বাকি ১৫ লাখ কারদাতা থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এত কম সংখ্যক লোকের থেকে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এনবিআর জরিপ করে যারা রিটার্ন দিচ্ছে না তাদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও খুবই কম। তাই করহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে দেশের পোশাকখাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। এ ছাড়া, ব্যবসায়ীরা যাতে এনবিআর অফিসে ঘুরতে না হয় সেজন্য সবকিছু অটোমেশন করা হচ্ছে। এখন সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে এক লাখ ৬০ হাজার সার্টিফিকেট অনলাইনে প্রদান করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ভ্যাট এবং বন্ড সুবিধা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা বন্ড সুবিধা অটোমেশনের আওতায় আনতে কাজ করছি। এ ছাড়া, আয়করের মতো ভ্যাটও যেন ঘরে বসে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’
তিনি আগামী বাজেটে ভ্যাট হার যৌক্তিকীকরণ এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ট্যাক্স রেট কমানো, ট্যাক্সনেট বৃদ্ধি ও রিফান্ড ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, উইমেন চেম্বারের সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চিটাগাং চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ও সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, প্রাক্তন সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ, চেম্বার পরিচালক ও বিজিএমইএ এর ১ম সহ- সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাসানুজ্জামান চৌধুরী (জোসেফ) ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পান রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা), রাঙ্গামাটি চেম্বার সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামুন, চট্টগ্রাম ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিট্যাবলস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রানা, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসেস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশনের মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএসআরএম জিএম শেখর রঞ্জন কর ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রেজাউল/এনএইচ