মাদারীপুরের শিবচরে মিজান কাজী (২০) নামের এক ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিকপুরে একটি ইটভাটার–সংলগ্ন ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

মিজান উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন মিজান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে আজ সকালে ভুট্টাখেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মিজানের মা মলিনা বেগম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর যাত্রী নিয়ে মিজানের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। রাত আটটার পরই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে ছেলের লাশ পাওয়ার খবর শুনেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রতন শেখ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত ব্যক্তির গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই উপজেলার পাঁচ্চর–সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে ২৮ জানুয়ারি আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

“ইজ্জত-মানসম্মান থাকতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন”

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অচিরে আপনারা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। এদেশের মানুষ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়।

এদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিয়ে নিজের নেতাকে নির্বাচিত করতে চায়। সুতরাং ইজ্জত মান সম্মান থাকতে আপনারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ও তারিখ ঘোষণা করুন। যার মাধ্যমে এদেশের জনগণ তার পছন্দের দল ও নেতা কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বন্দরে নজরুল ইসলাম আজাদের নানীর বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসে গকুলদাসের বাগে চৌরাস্তা খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি সুস্থতা কামনায় দোয়া ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

আজাদ বলেন, যার রোগমুক্তির জন্য আজকে দোয়া তিনি কে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । যিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক পার্সেনও আপোষ করেনি। এদেশের গণতন্ত্রের জন্য কিন্তু তার দুই ছেলেকে ওয়ান ইলেভেনের সময় কি পরিমান অত্যাচার করেছে আপনাদের মনে আছে।

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল তা আপনাদের মনে আছে। আরাফাত রহমান কোকো কি পরিমান অত্যাচার করেছে তাও আপনাদের মনে আছে। এই অত্যাচারের শিকার হয়ে কিন্তু আরাফাত রহমান কোকো এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তারা দুই ভাই যখন জেলে ছিল তখন তাদের কিন্তু সঠিক চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়নি। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু অনেক রকম ভাবেই অত্যাচার করেছিল। তারপরও কিন্তু উনি বিদেশে যাননি। যিনি এদেশের গণতান্ত্রিক কামে মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আপনারা সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন চিকিৎসাধীন রয়েছে আপনারা উনার সুস্থতার জন্য মন থেকে দোয়া করবেন।

যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। আপনারা দোয়া করবেন বিএনপির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সর্বোপরি জিয়া পরিবারের জন্য। তারেক রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য দীর্ঘ ১৬টি বছর আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি আমাদের জন্য এবং দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উনি যেন সুস্থ থেকে আমাদের জন্য কাজ করে যেতে পারেন তার জন্য আপনারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন। 

এসময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে  বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ শেষে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তার নানা নানীর কবর জিয়ারত করেন। 

বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের সঞ্চালনায় এবং বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মোমেন ভূঁইয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল। 

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ