চাঁদপুরের কচুয়া-গৌরিপুর-ঢাকা সড়কে ডাকাতি করতে গিয়ে কাভার্ডভ্যানের নিচে চাপা পড়ে মহসিন (৩৯) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোর রাতে কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের কচুয়া-গৌরিপুর বাতাপুকুরিয়া নামক স্থানে আনুমানিক সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ডাকাত মহসিন কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার রঘুনাথপুর ভিটিকান্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

কচুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, স্পর্শ এন্টারপ্রাইজের একটি কাভার্ডভ্যান নবাবপুর থেকে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে বাতাপুকুরিয়া বটতলায় ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল রাস্তার গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে গাড়ির গতিরোধের চেষ্টা করে। এ সময় গাছ কাটার করাত দিয়ে ড্রাইভারকে কোপ মারলে ডাকাতের হাত গাড়িতে আটকে ছিঁড়ে যায়। ড্রাইভার গাড়িটি থামাতে ব্যর্থ হলে গাছের ওপর আটকে গিয়ে উলটে যায়। এ সময় ডাকাত মহসিন গাড়ির নিচে পড়ে ঘঠনাস্থলেই প্রাণ হারায়। 

এ ঘটনার পর অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই কচুয়া থানার টহল পুলিশ এস আই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গাড়িতে আটকে পড়া ড্রাইভারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে, পরে কাভার্ড ভ্যান, গাছ কাটার করাত, কাটা (একাশি) গাছ জব্দ করে কচুয়া থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার তদন্ত ওসি জিয়াউল হক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাহিবজাদার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ইসলামাবাদের টানা দ্বিতীয় জয়

সাহিবজাদা ফারহানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে পিএসেলে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পেশোয়ার জালমি, যারা আবার টানা দুই ম্যাচ হারল।

সোমবার রাতে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপের ইসলামাবাদ।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় সাদাব খানের দল। পাহাড়সম পুঁজি তাড়া করতে নেমে ১৮.২ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারে বাবর আজমের দল। মোহাম্মদ হারিসের ৪৭ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও দলীয় ১৪১ রানে থামে পেশোয়ার। তারা কুড়ি ওভারের ম্যাচ হারে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল উইকেট ব্যাটিংস্বর্গ। আলজারি জোসেফ প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রিস গাউস রানআউট হয়ে যান। অন্যদিকে ফারহান রানবন্যা শুরু করেন। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৭৩ রান, যার মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ পেসার আলি রাজার এক ওভারেই ফারহান তুলে নেন ২২ রান।

পেশোয়ারের সেরা বোলার সুফিয়ান মুকীম ৯ম ওভারে ১৬ রান দেন, আর তাঁর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে আরও ১৬ রান। এই সময়ে ফার হানকে সঙ্গ দেওয়া কলিন মানরো আক্রমণাত্মক হতে শুরু করেন। এরই মাঝে ফারহান ৪৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১৩ বল ও ৫ ছক্কায় ৫২ বলে ১০৬ রান করেন। অন্যদিকে মুনরো ৬ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৪০ রান করেন। যদিও জোসেফ ফিরে এসে চার বলের ব্যবধানে দুজনকেই ফেরান। ততক্ষণে ইউনাইটেডের স্কোর দাঁড়িয়ে যায় ১৬৩, হাতে তখনো ছয় ওভার বাকি।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ