থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ঢাকাগামী একটি উড়োজাহাজে ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন একজন যাত্রী। এ অবস্থায় সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন উড়োজাহাজের পাইলট। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে এই ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা প্রস্তুত ছিলেন । রাত দেড়টায় উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণের পরই চিকিৎসক ওই যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ওই যাত্রীর নাম সাজ্জাদ। তিনি উড়োজাহাজটির ৩৪–এইচ আসনে ছিলেন। শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর থাই এয়ারওয়েজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা ওই মৃত ব্যক্তিকে উড়োজাহাজে রেখেই ঢাকায় নিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার কথা জানান। তিনি বলেন, রাত ৩টা ৪০মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসির গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় রবিবার (৬ এপ্রিল) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের খবরে বলা হয়েছে, আইসিসির  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে এমন দেশগুলোর আকাশপথ এড়িয়ে চলতে যুক্তরাষ্ট্র যাত্রায় স্বাভাবিক পথের চেয়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরেছেন তিনি।

আয়ার‌ল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো তাকে গ্রেপ্তার করতে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করাতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছালে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে স্থানীয় কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, নেতানিয়াহু রবিবার রাতেই ওয়াশিংটনে পৌঁছান। তবে এ যাত্রায় তাকে ৪০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। যাতে তিনি এমন কোনো দেশের আকাশসীমায় না পড়েন, যেসব দেশ আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন ছিল যে, যদি নেতানিয়াহুর বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়, তাহলে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মতো এমন কিছু ইউরোপীয় দেশ রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইসিসির গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু