Prothomalo:
2025-03-10@07:03:48 GMT

আবার আগুন ভারতের মহাকুম্ভে

Published: 7th, February 2025 GMT

দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজের (সাবেক এলাহাবাদ) মহাকুম্ভ মেলার। আজ শুক্রবার সকালে আবার আগুন লাগল সেখানে। মহাকুম্ভের সেক্টর ১৮–তে সকালে লাগা আগুন নেভাতে দ্রুত চলে যায়  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। মেলাপ্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রয়াগরাজের পুলিশ কর্তা সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। আগুন নেভানো ও তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ।

মহাকুম্ভে এই নিয়ে আগুন লাগল তিনবার। দুবার ঘটেছে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।

আজ সকালে হঠাৎই দেখা যায় সেক্টর ১৮–তে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরের দিকে উঠছে। স্থানীয় পুলিশ চৌকির পরিদর্শক যোগেশ চতুর্বেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খবর পাওয়ামাত্রই  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে চলে যায়। আগুন লাগে তুলসী চকের কাছে শঙ্করাচার্য মার্গের হরিহরনন্দ আখড়ায়। আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া দেখে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আশপাশের আখড়া থেকে বেরিয়ে আসেন সবাই। খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতির সামাল দেন আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগে। হুড়োহুড়িতে কেউ কেউ পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।  

আজকের আগুন কীভাবে লাগল, এ বিষয়ে পুলিশ বা মেলা কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু জানাতে পারেনি।

মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। প্রথমবার আগুন লাগে ১৯ জানুয়ারি। মেলাপ্রাঙ্গণে পুড়ে গিয়েছিল অন্তত ৫০টি শিবির। তখন সন্দেহ করা হয়েছিল, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছে। সেই আগুনে কেউ হতাহত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়নি। তারপর ৩০ জানুয়ারি আগুন লাগে সেক্টর ২২–এ। সেই দুর্ঘটনায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে যায়। এর এক দিন আগেই ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার দুটি ঘটনা। একটি ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও অন্য ঘটনাটির কথা আজও স্বীকার করেনি। তবে তদন্তকারী দল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ঘটনাটির প্রচার সত্য কি না, তা তাদের বিবেচ্য। বেসরকারি মত এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অবশ্য নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। সংসদেও বিরোধীরা এই দাবি জানিয়েছে। সরকার যথারীতি নীরব।

পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর ৩ ফেব্রুয়ারি একটি হট এয়ার বেলুন ফেটে আহত হয়েছিলেন ৬ জন। মেলাপ্রাঙ্গণে যেকোনো দুর্ঘটনার প্রচার যত কম হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার সচেষ্ট। সরকারি দাবি, শুক্রবার পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ প্রয়াগে স্নান সেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি ছিল, ৪০ কোটি পুণ্যার্থী প্রয়াগে আসবেন। পদপিষ্ট হওয়ার পরদিন তিনি জানিয়েছিলেন, পুণ্যার্থীরা ভীত হননি। স্নানযাত্রা অব্যাহত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল র ঘটন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যেমন ছিল মহানবীর (সা.) ইফতার

মহানবীর (সা.) ইফতার ছিল খুব সাদামাটা। তবে তিনি আগ্রহ নিয়ে ইফতার করতেন। রোজা ভাঙার সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নিতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রোজা পালনকালে রাসুল (সা.) মাগরিব ও ইফতার দ্রুত করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১০৯৯)

 তিনি ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনা খেজুর, অথবা শুধু পানি দিয়ে। তাঁর দীর্ঘ দিনের সেবক আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নামাজ আদায়ের পূর্বে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি ভেজা খেজুর না থাকত, তবে সাধারণ শুকনা খেজুর গ্রহণ করতেন। তা-ও না থাকলে কয়েক ঢোক পানিই হতো তাঁর ইফতার। (তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)

আবদুল্লাহ বিন আবি আউফা বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, কখনো তার ইফতার ছিল কেবল ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার খাবার। তিনি বলেন, ‘একবার, রমজান মাসে আমরা রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফরে ছিলাম। সূর্য অস্তমিত হলে তিনি বললেন, হে অমুক, নেমে এসে আমাদের জন্য ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার পরিবেশন করো। (বুখারি, হাদিস: ১৯৪১; তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-কে ভালোবাসার ৭টি নিদর্শন০৬ মার্চ ২০২৫

হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ (ঘোল ও মাঠা) দিয়ে ইফতার করার কথাও রয়েছে। তবে কখনো তিনি ইফতার ত্যাগ করেননি। আনাস (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-কে, এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও, ইফতার করা ব্যতীত মাগরিবের নামাজ আদায় করতে দেখিনি। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩,৫০৪)

 ইফতারে রাসুলের (সা.) আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়, ইফতারের কিছুক্ষণ আগেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। তারপর কোনো মিষ্টি জিনিস খাওয়া যেতে পারে। তারপর পানি। খেজুর না থাকলে যেকোনো ফল দিয়ে ইফতার করা ভালো। তাও সম্ভব না হলে যেকোনো হালাল খাবার, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়। যদি পানিও না থাকে, তাহলে ইফতারের নিয়ত করবে এবং ইফতারের নিয়তই হবে তার জন্য ইফতার। (আবু দাউদ, হাদিস: ২,৩৫৫)

 সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২)

 বর্তমান সময়ে ইফতার ও সাহরিকে কেন্দ্র আমরা যে জাঁকজমক ও আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পাই, নবীজি (সা.) কখনো তেমন করেননি।

আরও পড়ুনইফতারের দোয়া আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, অর্থসহ০৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ