চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। এই বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এনএইচকে) দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, নতুন যে সরকার আসবে তাদের কাজ করার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ এবং শক্তিশালী ভিত্তি থাকবে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যে পরিস্থিতিতে ড.
প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যা করতে চায় তা হলো তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তা জানিয়ে দেওয়া। তাই আমাদের মনে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।
তিনি দেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে
যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের সাধারণত ওজন কমে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে, শরীরের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বা পেট খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া তাদের মুখের ভেতরে ঘা বা মিওকোসাইটিস বা ড্রাই মাউথ বা গিলতে সমস্যা, রুচি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের খাবারগুলো হবে সহজে হজমযোগ্য। প্রয়োজনে শক্ত খাবার এড়িয়ে তারা নরম খাবার খাবেন। তারা একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেতে না পারলে তাদের অবশ্যই সারাদিনে অল্প অল্প করে বারবার খাবারটি গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং খাবারের তালিকায় অবশ্যই চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনস, মিনারেলস কোনোটা যেন মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে তারা লাল আটার রুটি রাখতে পারেন বা লাল চালের ভাত রাখতে পারেন। প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, দই, ডাল যেন মিস না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে সারা দিনে দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে হতে পারে। অবশ্যই খাবারের তালিকায় ফল রাখতে হবে। এখন যেহেতু শীতকাল, তাদের যেন ডিহাইড্রেশন না হয়ে যায় সেজন্য তাদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। পানি, সুপ বা জুস গ্রহণ করতে হবে। এ সময় অনেকের ইমিউনিটি কমে যায়। তাই সারাদিনের খাবার অবশ্যই ওয়েল প্ল্যানড এবং ওয়েল ব্যালান্সড হতে হবে। খাবার অবশ্যই হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বারবার গরম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা অবশ্যই বাসি খাবার খাবেন না। কোনো জিনিস ধোয়ার জন্য তারা অবশ্যই ফুটন্ত পানি ব্যবহার করবেন এবং দিনে ৫ থেকে ৬ বার বা ৭ থেকে ৮ বার একটু একটু করে তাদের খাবার গ্রহণ করতে হবে, শারীরিক কন্ডিশন অনুযায়ী। তাদের অবশ্যই প্রসেসড ফুড, লবণাক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার, বাইরের কেনা খাবার, রাস্তার কেনা খাবার, অর্ধসেদ্ধ কোনো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে রোগীর ব্লাড প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে যেকোনো খাবারের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। সেটি অবশ্যই ব্যক্তিবিশেষভেদে ভিন্ন হবে।
[পুষ্টিবিদ, এভারকয়ার হাসপাতাল, ঢাকা]