আজ (৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। সূচি অনুযায়ী মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি আজ সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ম্যাচের সময়ে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার বিসিবি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক ঘণ্টা এগিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বিপিএল ফাইনাল।
বরিশালের নেতৃত্বে আছেন তামিম ইকবাল আর চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। বরিশাল নামছে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নেয়ার অপেক্ষায় চিটাগাং। বন্দরনগরীর দলটি ২০১৩ সালের রানার্সাপ ছিল।
আরো পড়ুন:
বেড়েছে বিপিএলের প্রাইজমানি
অবশেষে বিতর্কের বিপিএলের পর্দা নামছে
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক আটকে দাঁড়াল হাতির পাল, ৪ ঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ
বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে জরুরি কাজে নন্নী এলাকায় যাচ্ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও এলাকার শিপন। এ সময় মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কে হাতির পাল দেখে ভয়ে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান তিনি। হাতির পালে শাবকসহ প্রায় ৪৫টি হাতি ছিল বলে জানান এই যুবক।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে হাতির পাল। হইহুল্লোড়, ডাক-চিৎকার করেও হাতিগুলোকে সরাতে পারেননি এলাকাবাসী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়ের জঙ্গলে চলে যায় হাতির পাল।
এলাকাবাসী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে ৪০-৪৫টি বন্য হাতি গারো পাহাড়ের বুরুঙ্গা-কালাপানি পাহাড়ে অবস্থান করছে। যখন তখন খাদ্য ও পানির সন্ধানে হাতিগুলো নেমে আসছে লোকালয়ে। কয়েক দিনে হাতির পালটি বুরুঙ্গা-কালাপানি এলাকায় ভেদরকোনা পাহাড়ি গোপে কয়েকজন কৃষকের জমির আধাপাকা বোরো ধান খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে। এ ছাড়া গত সোমবার সকালে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে আহত হয়েছেন বাতকুচি টিলাপাড়া গ্রামের জামশেদুল ইসলাম ছোটন (৩২)। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরেজমিন দেখা যায়, এক পাল বন্যহাতি সীমান্ত সড়কের ঝোপঝাড়ে অবস্থান করছে। সাত-আটটি হাতি সড়কে দাঁড়িয়ে আছে। হাতিগুলোকে তাড়াতে অথবা দেখতে কয়েকশ উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে ঢিল, কারও হাতে বাঁশি। সমস্বরে হৈচৈ করছে কিন্তু হাতিগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে।
শেরপুরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা শাহীন কবির জানান, সীমান্ত অঞ্চলে বন্যহাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বন্যহাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, আহত ও নিহত পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তাই বন্যহাতিকে উত্ত্যক্ত না করার আহ্বান জানান তিনি।
রাত নামলেই লোকালয়ে হাতির পাল
কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জাগিরপাড়ায় ভারত থেকে আসা বন্যহাতির পালের তাণ্ডবে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে কাঁচা-পাকা ধানক্ষেতে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায় ১৫-২০টি হাতি। এ সময় ক্ষেতের ধান মাড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি গাছপালা ভাঙচুর করে হাতির পাল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জাগিরপাড়া, হাতিবেড়, চন্দ্রডিঙ্গা, বেতগড়া গ্রামসহ আশপাশ এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, বন্যহাতির পাল দিনের বেলায় টিলায় থাকলেও রাত হলেই নামে লোকালয়ে। ক্ষেতের ফসল, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি করে।
রংছাতি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খান পাঠান জানান, সীমান্ত এলাকায় হাতির আক্রমণ এখন নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।