বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার হান্নান সরকার নতুন দায়িত্বে যোগ দিলেন। বিসিবির নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এবার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন এই সাবেক ক্রিকেটার।  

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) হান্নান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিপিএল দিয়ে আবাহনীর হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোচিং যাত্রা শুরু করবেন তিনি। সহকারী কোচ হিসেবে তার সঙ্গে থাকবেন তারেক আজিজ খান।  

এর আগে, বিসিবিতে বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে মোট ৮ বছর ৮ মাস নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন হান্নান। তবে ভবিষ্যতে কোচিংয়ে মনোনিবেশ করতে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি। বিসিবির পদ ছাড়ার সময় তিনি বলেছিলেন, টআমি আমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোচিংয়ে গেলে শুধু আমি নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটও উপকৃত হবে।'

বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হান্নান। তিনি জানান, 'গত তিন মাস ধরে এ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। এটি কোনো হুট করে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। সামনে ডিপিএল আছে, বিসিএল আছে, এইচপি ক্যাম্প হতে পারে বা এসসিএল, এখনই কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে।'

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪- এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তার ঢাকাস্থ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।

রিজওয়ানা হাসান জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

নগরায়ণ প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকাগুলোতে সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর ড. এম মাহফুজুর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম আব্দুর রব এবং বিজ্ঞান অনুষদের বিশিষ্ট অধ্যাপকবৃন্দ।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ