বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোকে প্রকৃতি সংরক্ষণ স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে: রিজওয়ানা হাসান
Published: 7th, February 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণ স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তাঁর ঢাকাস্থ বাসভবন হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বন অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।
রিজওয়ানা হাসান জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।
নগরায়ণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জওয ন হ স ন পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
ঘরের চালায় ঢিল দিতে বাধা দেওয়ার জের, টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে রোকেয়া বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই নারী। রোকেয়া বেগম (৫০) উপজেলার ধরমণ্ডল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলমদর পাড়ার রইছ মিয়ার স্ত্রী। ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধরমণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ঘরে চালায় ঢিল ছুড়তে বাধা দেওয়ায় ১ এপ্রিল রাতে বদরুল ইসলাম নামে এক যুবক রোকেয়া বেগমকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে। বদরুল একই এলাকার ছিপত আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ধরমণ্ডল ইউনিয়নের কলমদর পাড়ার যুবক বদরুল প্রায়ই রোকেয়ার ঘরে ইট দিয়ে ঢিল ছুড়ত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বিচার সালিশও হয়েছে। গত ১ এপ্রিল রাতে ঘরের চালে ঢিল মারে। এতে ঘরে থাকা শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে রোকেয়ার ছেলে সেলিম মিয়া বের হয়ে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু বদরুল কোনো কথায় কর্ণপাত না করে আবারো ঢিল ছুড়তে চাইলে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বদরুলের হাতে থাকা টেঁটা দিয়ে সেলিমকে আঘাত করতে আসে। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোকেয়া বেগম ছেলের সামনে চলে এলে তাঁর বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনার পর বদরুলকে আটক করে গ্রাম পুলিশ ফরিদ মিয়ার জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু বদরুল কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গ্রাম পুলিশ ফরিদ মিয়ার ভাষ্য, চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয়রা বদরুলকে তাঁর কাছে ধরে এনেছিলেন। এর পর তিনি বদরুলকে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে কথা বলার এক ফাঁকে বদরুল পালিয়ে যায়।
নাসিরনগর থানা ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, তিনি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দিতে আসেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।